হে জ্যোতিষী, চেয়ে দেখ আমার হাতে!
বল কি বা লিখা আছে রেখার অন্তে।
গ্রহতারা কুষ্ঠি রাহুর সংখ্যাতে নয়,
নয় অহেতুক আশ্বাস কিংবা অজানা ভয়।
যদি পার তবে বল গোপন ভেঙ্গে,
ভবিষ্যত কেমন যাবে আমার সঙ্গে।
জানি তুমি বলবে জীবন তো নিস্ফলা,
দারুন ব্যর্থ, ভরাডুবির ষোলকলা।
তোমায় আমি বিশ্বাস করিনা জ্যোতিষী,
আমার জীবন নিজ হাতে কর্মে বেঁধেছি।
মরে পঁচতে এসেছি কি এই ভুবনে?
না! তার আগে মহাযজ্ঞ করব জীবনে।
দুঃখ নাকি সুখ এলো এ জীবন ভরে,
ভাবনার অনেক সময় পাব অবসরে।


বোবা পশু আমি নই বাঁধা কোনো জোয়ালে,
সারাদিন কাজ শেষে আশ্রয় নোংরা গোয়ালে।
আমি জীবন যুদ্ধ জেতা এক নায়কের মতো,
এগিয়ে যাই সামনে গায়ে নিয়ে যুদ্ধের ক্ষত।
আমি জানি হাতের রেখা মিথ্যে আঁকিবুঁকি।
তোমার মত জ্যোতিষীদের সব ধুর্ত চালাকি।
তোমার অদৃষ্টের ভয় মোটেও নয় আমার জন্য।
নিয়তিকে বানিয়েছি বেলা শেষের আনন্দ।


(১৬.০৮.২০২১, ঢাকা)