বাইশ বছর সময়, খুব বেশী নয়।
আসবে কি ফিরে আবার?
সময় এখানে থমকে আছে,
পথ নেই কোথাও যাবার।
প্রতি বিকেলে আজো বসে থাকি,
তিতাস নদীর পাঁড়ে।
অনেক জল গড়িয়ে গিয়েছে,
অনেক বছর ধরে।
অনেক স্মৃতি হারিয়ে গিয়েছে,
অনেক স্মৃতিতে ধূলি।
সেই কবেকার কথা ছিল সব,
এখন গিয়েছি ভূলি।
সিঁদুর রাঙা মিষ্টি বিকেল,
আসবে কি ফিরে আর?
হৃদয়ে যদি ইচ্ছা জাগে,
তবে, ফিরে এসো আবার।
গুনটানা না’য়ের পালের পড়তে,
যে গল্প লিখা থাকে।
দু’জনে মিলে পড়ব না হয়,
সেই সব নিরালাতে।
বেগুনী, কমলা, মেঘেদের মালা,
ছড়ালে অস্তাচলে,
ফেলেআসা দিনের গল্পের ঝুড়ি,
মেলিব দু’জনে মিলে।
বালুচরে ফোটা কলমি লতার,
বুনো গন্ধ মেখে।
বাকি ক্ষণটুকু কাটাব আমরা,
সন্ধ্যার রূপ দেখে।
পাখিদের দল, করে কোলাহল,
ফিরবে যখন নীড়ে।
সব কথা বলা হবে না তো শেষ,
রবে কিছু অন্তরে।
শীতের রাতের কুয়াশা চাদরে,
জড়ায়ে আসিলে গাঁ।
শিশির ভেজা ঘেসো পথে,
দু’জনে মিলাব পা।
বলা না বলা কথা গুলি আবার,
বলবো চুপিচুপি।
লজ্জা পেলে শাড়ীর আঁচলে,
মুখখানি নিও ঢাকি।
যদি দেখো দূরে, গ্রামের কুটিরে,
জ্বলছে সন্ধ্যা বাতি।
জেনে নিও তবে তোমার আমার,
অভিসারের হলো ইতি।
উঠিবেনা চাঁদ, হয়ে যাবে রাত,
পথ রয়ে যাবে বাকি।
অন্ধকারে ভয় কিসের?
পাশাপাশি যদি থাকি।
      -শাহরিয়ার।