চলার পথে সহসা,
দাড়াই থমকিয়া।
পথ মোর গেছে বেঁকে,
অনন্ত দুই দিকে,
ঠাহরে আসেনা আদি অন্ত।
হস্ততুলি নেত্রপাশে,
নিরিখ করি অনিমেষে,
দৃষ্টিসীমা যায় যে পর্যন্ত।
এক পথ মিলিয়ে গেছে,
উদয়াচল যে পাশে,
অপর পথ অস্তাচলে,
একেবেকে গেছে চলে।
আমি স্থানুবৎ গভীর ভাবনায়,
কোন পথ বেছে নেব,
ভাবিয়া না পাই!


উদয়ের পথ রঙিন,
বিচিত্র ফুলে,
মঞ্জিকা রাশি রাশি,
পড়িতেছে ঢলে।
কত শত জহরত,
লুটাইয়া আছে সব,
থরে বিথরে,
বিবেকের বিনিময়ে,
নিতে পারে ইচ্ছা হলে,
দু’হাত ভরে।
হাজার পথিক ছোটে,
সেই পথে উর্দ্ধশ্বাসে।
কেহ কারে নাহি মানে,
ব্যস্ত তাড়না।
সেই পথে গেলে পরে,
জীবন স্বার্থক হবে,
সেই ভাবনা।


অস্তাচলের পথ হীন,
ছড়ানো রুক্ষ তৃণ,
আর কিছু সবুজ ঘাস,
ছাড়িতেছে দীর্ঘস্বাস।
সকরুন নেত্র মেলে,
চেয়ে যেন মোর পানে,
ডাকিছে নিরবে
বড় আশা করে,
আমি যেন যাই
সেই বিরান পথ ধরে।
এই পথে নেই বিত্ত,
আছে শুধু প্রশান্ত চিত্ত,
অভাজনে সেবিবার,
বিপুল সুযোগ।
আর আছে জীবনব্যপি,
অভাব অভিযোগ।
স্বার্থের উর্দ্ধে যারা,
এই পথে আসে তারা,
লভিতে জীবনের,
আরাধ্য পূর্নতা।
ধন মান যশ খ্যাতি,
এখানে আছে কমতি,
আর আছে জীবনব্যাপি,
নিদারুণ দীনতা।


অনেক ভাবনা করে,
চলিলাম অস্তাচলে,
সাথীজনে বিমূঢ় হলো,
মোর বোকামি দেখে।
স্মিত হাস্য করি,
রুক্ষ পথ ধরি,
পা বাড়াই সবেগে।
মনে মনে ভাবিলাম,
কি হবে ঐশ্বর্য্য লয়ে,
দু’হাত ভরে।
জগতে কি আছে কিছু,
বিবেকের উপরে?