আমি যখন বিনয়াবনত হই
আমার প্রভুর দুয়ারে ।
আমার ‘আমি’ কে
ভেঙেচুরে চূর্ণবিচূর্ণ করি
মহাপরাক্রমশালী মালিকের সত্তার সামনে ।
নিজেকে তুচ্ছজ্ঞান করে
একেকটি ধূলিকণায় রুপান্তর হই ।
একটি ধূলিকণাকে তখন
মহান প্রভু সুদৃঢ় পাহাড়ের চেয়ে
সুউচ্চ মর্যাদার আসন দেন ।


আমিও কান্না করি
কোন মানুষের দেওয়া ব্যথায় নয়
কিছুটা ভালোবাসা ও কিছু কিছু ভয়ের মিশ্রণে ।
আমার চোখের একটি ফোঁটা পানি
বহুমূল্যে খরিদ করেন তিনি ।
গোপনে দু'হাতের ফাঁকে যে ফোঁটা ঝরে
প্রভু তার একেক হুরের মুল্য দেন
ব্যথিত হৃদয়ের আহ্ শব্দে
একেক উদ্যান লিখে দেন ।


জীবন চলার পথটা এতো সহজ নয়
হাজারো বাঁধার দেয়াল ভেঙে চলতে হয়
মাঝে থমকে দাঁড়াই ।
অবসাদ আর ক্লান্ত শরীরে
তখনও ধৈর্যের শিকড় আঁকড়ে ধরে
চলতে থাকি সংগ্রামী জীবন নিয়ে
রণাঙ্গনের সাহসিকতার পরিচয় দিয়ে
সালাত ও ধৈর্য, হিম্মতকে অবলম্বন করে ।
আকাশের অধিপতি তখন
আমাকে বেহিসাব মদদ ও সাহায্যে
ভূষিত করেন ।


তারিখঃ ১৭/০৩/২০২৩ইং
বিকালঃ ০৪:৪৯ মিনিট
ভাঙ্গা হাইওয়ে, ফরিদপুর।