পাপ করিয়া মাওলা প্রেমিক শান্তি পায় না কভু
পাপ সাগরে ডুব দিলেও জ্বলতে থাকে তবু।
পাপের মজা পায় না পুরো ঈমান যাদের দিলে
আশঙ্কাতে কাঁপতে থাকে হরদম তিলে তিলে।
''বনী আদম সবাই পাপী'' মহান আল্লাহ্ বলে
সর্বোত্তম, প্রভুর নিকট তাওবা কারী হলে।  
পাপ হলো ভাই ভীষণ খারাপ কালো করে হিয়ে
পাপের ময়লা ধুয়ে ফেলো তাওবা সাবান দিয়ে।


চিন্তা করছো ভীষণ পাপী নাহি কী কূল-কিনার
জমা করলে পাপের রাশি, হয় সুউচ্চ মিনার?
শত খুনের আসামিকে ক্ষমা করে বলে;
মাফ করে তোর সব অপরাধ নিলাম দয়ার কোলে।
বিশরে হাফি এক শরাবি শরাব পানে বিজি
ক্ষমা পেয়ে গেল দেখো সে-ও কত ইজি।
একটি টুকরো কাগজ পড়া মানুষ চলার পথে
তুলে দেখে আরবী লেখা, চুমায় শ্রদ্ধা হতে।


আসমানে ওই মাওলা দেখে খুশি হয়ে হাসে
না বুঝে-ও আমার নামকে এত্তো ভালোবাসে।
আরবী লেখা বোঝেনি ওই মদখোর জালেম
জ্ঞানহীন একজন মানুষ ছিল নাহি ছিল আলেম।
কাগজ টুকরো বুকে নিয়ে বাড়িতে যায় রাখি
আবার গেলো শরাবখানায়, ঢালছে সুরা সাকি।
পুরো রাত্রি নেশায় বিভোর ওই রাতের-ই শেষে
কামেল ওলী হাসান বসরী ডাকছে তারে এসে।


বলে আজ তুই কী কাজ করলি মাওলা ভীষণ খুশি
উজ্জ্বল ললাট আজ দেখি তোর ভাগ্যটা বেশ তুষি।
শুনুন তবে ওহে হাসান, আমার আসার ক্ষণে
একটা কাগজ পড়া দেখে আকৃষ্ট হয় মনে।
তুলে সেটা চুমু খেয়ে রেখে আসছি বাড়ি
হাসান বলে; দেখবো কাগজ চল্ না তাড়াতাড়ি!
বাড়ি গিয়ে কাগজটা দেয় হাসান বসরীর হাতে
মহান মাওলার পবিত্র নাম লেখা ছিল তাতে।


বিস্মিত হয় ভেবে হাসান এজন্যই আজ খাবে
মহান প্রভু এলহাম করে, খবর নিয়ে যাবে!
আমার নামকে না বুঝিয়া করেছে যে আদর
আমি মাওলা দিয়ে দিলাম তাকে ক্ষমার চাদর।
অতীতের সব পাপের অধ্যায় তাওবায় গেল জ্বলি
বিশরে হাফি হয়ে গেল মাওলার প্রিয় ওলী।
তাই হে বন্ধু, আর থেকো না মাওলা হতে দূরে
জীবনের সব ভুলের জন্য কাঁদো করুণ সুরে।
হাত তুলে আর সেজদায় পড়ে ডাকো ক্ষমার আশায়
ক্ষমা করে বুকটা ভরে দিবেন ভালোবাসায়।


স্বরবৃত্ত ছন্দঃ ৪+৪+৪+২
তারিখঃ ২৩/১১/২০২২ইং
সন্ধ্যাঃ ০৫:২৩ মিনিট।