(০১)হৃদয় ঠোঁটে প্রেমের সুরা


তোমায় মাওলা পাবো আমি কবে?
সকল দুঃখ ঘুচবে আমার তবে!
সকল পর্দা ভেদ করে প্রিয় যেদিন-
তোমার আমার মধুর মিলন হবে।।


আমি পাগল কত আর কাঁদাবে
আমায় ছেড়ে কতদূর আর রবে?
দাওনা দিদার আমায় তাড়াতাড়ি
শান্তি পাবো যেদিন টেনে নিবে।।


তোমায় পাওয়ার আশা নিয়ে বুকে
তোমার খোঁজে ঘুরি দিকে-দিকে।
কতদিন আর খুঁজলে তোমায় পাবো-
হৃদয় ঠোঁটে প্রেমের সুরা দিবে।।


অবশেষে মোর এই আবেদন বলি
জ্বালাও তুমি প্রেম অনলে জ্বলি।
থাকব হয়ে তোমার ওগো প্রিয়;
আশায় আছি আপন করে নিবে।।


তারিখঃ ১৬/০৩/২০২১ইং
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
(০২)নিবিড় বসবাস


চক্ষু ঘুমায় নিশিপুরে জাগ্রত রয় হিয়ে
প্রেম-খেলাতে নজর হরদম প্রিয় তোমায় নিয়ে!
তোমার সনে মধুর বন্ধন মনের কী যে ভাব
কতো ভালো লাগে আমার তোমার প্রেম উত্তাপ!


আড়ালে আড়ালে থেকেই কত লেনাদেনা
সকল চক্ষুর আড়ালে থাকি আমি যে দেওয়ানা।
কেউ জানে না তোমার আমার নিবিড় বসবাস
কাব্যমালায় ভাসে তারই খানিকটা আভাস।


ওগো তুমি আছো ওই সুদূরে আরশে আজীমে
এই জমিনে আমি পাগল তোমার মধুর নামে।
আকাশ-বাতাস চন্দ্র-তাঁরা আর সকল নিদর্শনে
সবকিছুতে টানে দেখি হৃদয় মায়াল আকর্ষণে।


ফুল পাখিরা বলে যায় গো তোমারই সংবাদ
তোমার আমার প্রেমের ভাষার হয়না অনুবাদ।
তুমি বলো শুনি না তা মাওলা আমি চর্ম কানে
বাজতে থাকে ঝংকার তব এই ব্যথির প্রাণে।


কেউতো শোনে এই মাজনুর করুণ আহাজারি
রাত গভীরে যেই কাকুতি নিত্য প্রকাশ করি।
আহা কী সুধাময় কতো মায়াময় প্রেমী আস্তানা
জানতো যদি বাদশাহরা সব হতো মাস্তানা।


বুঝেছিলেন ইবনে আদহাম ছেড়ে তাই সিংহাসন
বাদশাহী হাল ছেড়ে করলো তোমার অন্বেষন।
বাবা ফরিদ, রুমী, জামী, তাবরেজীর দল যারা
হাসান বসরী, বিশরে হাফি সকল আউলিয়ারা।


মুজাদ্দিদে আলফে সানী আরো আজমিরী
ইমদাদুল্লাহ্, গঙ্গুহী, থানভী আশেক সব তোমারি।
হাকিম আখতার, ফুলপুরী, খাজা ও শফী
যাদের হৃদয়ে নিয়েছিলো তোমার স্থান কাফী।


এই অধমও সেই নিবেদন করছি প্রকাশ
হোক এ হৃদয় তোমার প্রেমে অহর্নিশ বিকাশ।
তোমার জন্য হৃদয়ে মোর ব্যাকুলতা একরাশ
চাই গো প্রিয় তোমার সাথে নিবিড় বসবাস।


তারিখঃ ১২/০৪/২০২২ইং
রাতঃ ০৯ঃ৫৫ মিনিট,
আলীপুর, ফরিদপুর।
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
(০৩)বোতলের নেশা


দাও আমায় দাও জলদি এক বোতল
প্রিয়র উষ্ণ হাতের লালরঙা বোতল।
নেশায় ডুবে হতে চাই আজ মাতাল
ভয় কি আমার আছে রুমীর হাসপাতাল।


এই বোতলে মজুদ কতো যে মধু
ছাড়ি কেমনে সে আমায় করেছে যাদু।
এক বোতল নয় হাজারো বোতল
আমার এই বোতলে বক্ষ হয় শীতল।


যবে খুঁজে বেড়াই আমার প্রিয়র ঠিকানা
খুঁজতে খুঁজতে আসি এই আস্তানা।
পিপাসা থাকলে তথায় পিপাসা মেটে
শুধু আসলে পিপাসাটুকুও জোটে।


নয় গো বন্ধু ইহা নিরাশার দরবার
যতই এসেছি পেয়েছি দৌলতের ভান্ডার।
আজগুবি নয় আমার এই তথ্য
রোগ থাকে না সে দিলে নিলে ওষুধ পথ্য।


জেনেছি সব রোগের শিফা এই বোতল
ভিটামিন, পুষ্টি গুণে পূর্ণ এই বোতল।
নফসের আঘাতে হইলে রে কতল
আবার প্রাণ দানে'রে দিব্যি এই বোতল।


মন প্রেম-বিদগ্ধ পরিবেশক চায়
আমার সাকীর ঢালা তপ্ত পেয়ালায়।
তৃষ্ণা নিয়ে ছুটে আসি সরাবখানায়
যেথায় হাজির হয় হাজারো দেওয়ানায়।


যেথার ব্যাস্ততা সবার শুধু বোতল নিয়ে
পোলাও, কোর্মা, বিরিয়ানী বাদ দিয়ে।
নেশায় বিভোর আবোল-তাবোল বকে
কী দেখি এই নেশাময় দু'চোখে!


ওই আসমানেরই রঙটা পাল্টে গেলো
সবুজিমায় নতুন রঙ-রূপ এলো।
আমি বিস্মিত হই বোঝে না কেন ওরা
আমি কোন বোতলের নেশায় মাতোয়ারা।


এই বোতলের স্বাদ মজা পায়নি যে লোক
সত্যি কথা বলতে ওরা আস্ত নাবালক।
এই নেশায় বুদ হলে শুদ্ধ হবে লাহু
চুমুক দিয়ে জপতে থাকো আল্লাহু আল্লাহু!


তারিখঃ ১৩-০৪-২০২২ইং
রাতঃ ০১:১২ মিনিট,
আলীপুর, ফরিদপুর।
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
(০৪)চশমার কারিশমা


রাত বাড়লে আমার বুকে ভাবের সূর্যোদয়,
গভীর রাতে প্রিয়র সনে প্রেম ধুমা ধুম হয়।
সারা জাহান সূর্য বিহীন নিকাশ অন্ধকার,
সে সময়ে আমার জগত আলোর সমাহার।
পূর্ব দিগন্তে সূর্য কিরণ প্রভাতে দেয় উঁকি
সাঁজের বেলা পশ্চিমে লুকিয়ে পরে দেখি।
এই দৃশ্য দেখতে থাকে এ ধরার চক্ষুষ্মান
আরেক সূর্য আলো করে হৃদয়ের জাহান।


নভে পূর্ণ চন্দ্র কেবলমাত্র পূর্ণিমাতে হেরি
অপূর্ণ রূপ নিয়ে সেই যে করে ঘোরাঘুরি।
চন্দ্র-মাসের চৌদ্দ তারিখ পূর্ণতা সে পায়
ঊনত্রিশ রাতের আগে আলো সে হারায়।
এইতো হলো চন্দ্র-সূর্যোর আলোর রহস্য
আরেক দীপ্ত রৌশনি খবর রাখে না বিশ্ব।
সেই জাহানে যাদেরই কদম করে বিচরণ
সে জাহানে হাজার সূর্য সদা দেয় কিরণ।


কল্পজগত নয় যে এটি ভাবতে তুমি পারো
দেখতে চাও আলোর জাহান হস্তটা ধরো!
কোন সে হস্ত দেয় সমস্ত সৃষ্টির তত্ত্ব মেলে
ধরলে সে পথ মিলে সু-পথ চক্ষুদ্বয় খোলে।
যে-পথে পায় অন্ধরা সব আলোর নিশানা
তোমার চলা পথের সাথে কভুও মিশে না।
তুমি চলছো অন্ধকারের বিশ্রী কদাকারে
ভাবছো মুক্তি ও মঙ্গল চলছো সুপথ ধরে।


না বন্ধু! চক্ষে তোমার দেখছো যে ঝাপসা
আজও বুঝতে পারো নি চোখের সমস্যা।
জলদি পড়ে নাও তুমি জ্ঞানের সে চশমা
দেখবে দুই চোখে হটাৎ দারুণ কারিশমা।
হাজার চন্দ্র হাজার সূর্য উদিবে হৃদ-ঘরে
থাকবে না গো বন্ধু তুমি! আর অন্ধকারে।
জানতে চাইলে সব রহস্য গোপনে আসিও
হৃদয় পেতে সামনা-সামনি নিরবে বসিও।


তারিখঃ ১৭/০৪/২০২২ইং
রাতঃ ০৯:৩০ মিনিট।
°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°
(০৫)ওগো প্রাণের সাকী!


দিও না আর আমায় তুমি ফাঁকি
হৃদ-আসনে আসীন হও হে সাকী!
জানি আমি তোমার গোপন ভেদ
সয়না প্রাণে খানিকটা বিচ্ছেদ
আজীবন চাই তোমার হয়ে থাকি!!


যেদিন তোমায় খুঁজেছি প্রথম
সেদিন হতে এ পথেই হরদম।
তোমার মায়ার জালে হয়েছি বাধ্য
হে প্রেমময়! হে মোর আরাধ্য!
প্রেম-সুগন্ধি হৃদয়ে মাখামাখি!!


আমি প্রেম-ভিখারী বড় দরিদ্র
ওগো তুমি মহাজন মহান দয়ার্দ্র!
দান করো গো আমায় ছিটেফোঁটা
তোমার তরে উৎসর্গ হৃদয়ের ভিটা।
নগদ নগদ দাও রাখিও না বাকি!!


কাননের সব ফোঁটা পুষ্প-দলে
গুনগুনিয়ে মৌমাছি-দল বলে।
জানো তুমি সর্ব সেরা কে?
ফুলের গন্ধ, মৌ দাতা সে যে!
তুমি আমার ওগো প্রাণের সাকী!!


তারিখঃ ১০/০৩/২০২২ইং
সন্ধ্যাঃ ০৬:৩২ মিনিট।
°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°
(০৬)জালওয়াময়ী রবি


মনটা ভীষণ কাঁদছে প্রিয়জন তোমার তরে হায়
ছুটে যায় মন তোমার খোঁজে তোমার ঠিকানায়।
দেখে চক্ষু সুদূর নীলাদ্রি ঐ অসীম নীলের রাশি
যেথায় বেড়ায় সাদা মেঘের দল শুন্যতেই ভাসি।
পাখি হয়ে সেই ঠিকানায় মোর মনটা উড়ে যায়।।


পাখির কুজন, ময়ূরের সাজন, হরিণের দু'চোখে
কী সোভা গো ওদের গায়ে তুমি দিয়েছো মেখে!
রূপ ঝলকে, চোখের পাতায় ভাসে রূপের ছায়া
পুষ্প গন্ধে মধুর অন্নে কেড়ে নেয় গো মোর হিয়া!
সব সোভাতে তুমি দৃশ্য এসব তোমারই পরিচয়।।


দিনের সূর্য ডোবে রাত আসলে চন্দ্র হয় প্রকাশ
সকল সৃজন দেখে গো প্রিয় আত্মা হয় বিকাশ।
না উদিলে মোর হৃদয় নভেঃ জালওয়াময়ী রবি
অমানিশারও ঘোর আঁধারে কলঙ্কিত হবে সবি।
হোক তো এবার সেই রবি আর সেই শশী উদয়।।
              
তারিখঃ০৩/০৪/২০২২ইং
রাতঃ ০৮:০০ মিনিট।
আলীপুর, ফরিদপুর।
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
(০৭)প্রিয়র সনে মিলবো রাতে


থাকবো না আজ আমি কারো সাথে
প্রিয়র সনে মিলবো আজ এই রাতে।
ঐ আসমানে মোর পরম-প্রিয় ডাকে
সে ডাক শুনে কেমনে প্রেমিক থাকে!
ডানা মেলে যে উড়বো আকাশপথে।।


যতক্ষণই সন্ধ্যা হতে হবে না প্রভাত
ততক্ষণ দিবেন প্রভু ক্ষমারই সওগাত।
করবো রুকু-সেজদা, পড়বো তাসবীহাত
করবো বেশি বেশি কোরআন তেলাওয়াত।
ইবাদত বন্দেগী মহান মাওলা পেতে।।


খুলেছে আজ ঐ আসমানে সৌভাগ্যের দুয়ার
থাকলে বান্দা কেউ সে দৌলত নেওয়ার।
ছুটে আসো জলদি জলদি করো না দেরি
লুটেপুটে নাও গো তা ঐ কদমে পরি।
সন্তুষ্টির ধন ভরে দিবেন বান্দার দু'হাতে।।


শবে-বরাত, শবে-ক্বদর এসব রজনী
কত যে মর্যাদাবান তা কী বোঝো নি!
এসব রাতের ইবাদতে হয় বান্দার প্রমোশন
বান্দা হতে অর্জিত হয় বন্ধুত্বের আসন।
জ্ঞানী যাঁরা এসব রাতে ইবাদতে মাতে।।


ইবাদত হোক চুপিসারে কেউ না পায় টের
যতই গোপন নফল ইবাদত ততই সওয়াব ঢের।
মসজিদে গিয়ে হালুয়া-রুটির না হোক কাড়াকাড়ি
চাইলে দয়ালু দিয়ে দিবেন রিক্ত হস্ত ভরি।
চলো সবাই লেগে পড়ি ক্ষমা-দয়া নিতে!!


তারিখঃ ১৮/০৩/২০২২ইং
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
(০৮)নিঝুম রাতে প্রেমের দহন


নিঝুম রাতে একলা একলা কাকে অনুভবী
কার জন্য ব্যাকুল আমার অঙ্গ হৃদয় সবি!
ঐ নীলিমা দেখলে আমার কাকে মনে পরে
কার ভাবনার তরঙ্গ বয় আমার হিয়া জুড়ে!


কার প্রেমে অশ্রু ঝড়ায় আমার দুটি আঁখি
কার বাঁধনে নিজেকে আমি সদা জড়িয়ে রাখি!
কে সেজন এতো সুন্দর না দেখে মন পাগল
কার সন্ধানে ছুটে চলেছে আমার পদযুগল!


কার প্রেমে আজ খাচ্ছি আমি নিত্য হাবুডুবু
কার আগুনে জ্বলছে হৃদয় ফিরছে না যে তবু!
কার প্রেমে জ্বলে আমি পাচ্ছি এতোটা মজা
কার প্রেমের দহন আত্মা নিত্য করছে তাজা!


প্রিয়র প্রেমে ভীষণ টানে আমায় সারাক্ষণ
দিবানিশি বিভোর রাখে মোরে ঐশী আকর্ষণ!
থাকে না মন এই জমিনে উড়ে উর্ধ্ব পানে
রূহের ডানায় উড়ি বিরতিহীন তাজাল্লী ঘ্রাঁণে!


দেহ থাকে এই জমিনে আত্মা ঐ আসমানে
প্রেম ধুমধামে চলতে থাকে মোর প্রিয়র সনে।
আদর দানে কোলে টেনে মধুর এক পরিবেশ
থাকেনা জীবনে সেসময় বন্ধু অবসাদের রেশ।


এমন মজা অন্য কোথাও পাই না আমি কভু,
যে মজা দেন কাছে টেনে আমায় দয়াল প্রভু।
হিল্লোলিত, উদ্ভাসিত থাকি আমি রাত্র-দিনে
কোন কিছু ভালো লাগে না প্রিয় তুমি বিনে!


তারিখঃ ২৫/০১/২০২২ইং
রাতঃ ০৩:৫৪ মিনিট।
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
(০৯)অশ্রুফুলের মালা


কতদিন পর সুযোগ হলো,
এমনি কাছে আসা।
অশ্রুফুলের মালা জরিয়ে
তোমায় ভালোবাসা।


এমনি সুযোগ করে দিও
আমার নিত্য দিন
কোন কিছু ভাল লাগে না
প্রিয় তুমি ভীন।


দিল খুলিয়া প্রাণ খুলিয়া
ডাকো তারে ডাকো
অশ্রু ফুলের মালা লইয়া
দুয়ার পরে হাকো।


দয়াল দ্বারে সবচেয়ে প্রিয়
অশ্রু ফুলের মালা
নজরানাতে একটি ফোঁটা
খুশি তিনি মেলা।


ফুটিলে ফুল স্নেহ-মমতা
দিয়ে হাত বোলায়
কী খুশি হন আদর করে
গোলামকে ভোলায়।


সমর্পিত করলে গোলাম
অশ্রু ফুলের ডালি
দয়ার সওগাত গোলাম পরে
দেনগো তিনি ঢালি।


তারিখঃ ২৯/০৩/২০২২ইং
সন্ধ্যাঃ ০৭:০০ মিনিট।
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
(১০)দীক্ষা আমি চাই


হে প্রিয় মুর্শিদ! মিটাতে চাই
আমার আমিত্বকে
মহান প্রিয় মাওলাকে চাই
এই হৃদয়ে পেতে!


অন্য কোন আশা আমার
নেই কোন অভিলাষ
মাওলাপ্রেমে মজে থাকবো
আমি বারোমাস।


আ'হা কীভাবে মিটাতে হয়
দীক্ষা আমি চাই
আমাকে শিখিয়ে দাও গো
মজনু হবো তাই!


রুমীদের ছবক চাই আমি
শায়েখ তোমার কাছে
বিলিয়ে দিতে পারি জীবন
মাওলার খুশির নিচে।


মাওলার সাথে যেন মোর
মহব্বত হয় ভারি
ভালোবাসার সে মন্ত্র আজি
শিখাও তারাতাড়ি!


প্রেম সাগরের  ঢেউ-তরঙ্গে
ডুবে মরতে চাই
খুশিতে জীবন বিলাবো যদি
প্রেমের ধন বুকে পাই!


জানি গো তুমি প্রেম সাগরের
মহান এক ডুবুরি
হস্ত ধরে ডুববো বলে ওগো
করি তাই ঘুরাঘুরি।


হৃদয় চাই যে আগুনওয়ালা
মোর পরম প্রমাগুনে
জ্বলেপুড়ে নিঃশেষ হয়ে চাই
মিলতে তাঁর সনে!


কেমনে হৃদ হবে অগ্নিগিরি
সেই ছবক আজ দাও
তোমার পথে তোমার সাথে
মোরে সঙ্গী করে নাও!


এই আশাতেই ঢালকানগর
আমার আসা-যাওয়া
এই হৃদয়ের সিংহাসনে সে
মন মহাজন পাওয়া!


তারিখঃ ০১/০৭/২০২০ইং
বিকালঃ ০৩:৪০ মিনিট।
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
(১১)অসহায়ের সহায় তুমি


আমার মহব্বত ও ভালোবাসা শুধু তোমার সাথে,
অহর্নিশি অস্থির মন তোমায় কাছে পেতে।
কোথায় তুমি দেখি নাতো আকাশে না আরশে,
তাজাল্লীর গন্ধে পাগল হিয়া প্রতি নিমিষে।


হৃদয় মাঝে জ্বলে অগ্নি সদা করে উৎপাত,
জ্বলতেই থাকি, থাকি, এভাবেই দিনরাত।
চুলার আগুন নিভিয়া যায়, না দিলে চলা,
প্রেমের আগুন নিভে নাতো কমে না জ্বালা।


অশ্রু ঝড়ে প্রেমিকের ভেসে যায় বুক,
কতো ভালোবাসি আমি, প্রিয়জন দেখুক।
চোখে পানি,বুকে আগুন কভুও না থামে,
দিনে দিনে তীব্র দহন হৃদয় মম জমে।


এই আগুনে ভষ্ম হোক প্রানের সব চাওয়া,
তোমার পরশ,ভালোবাসা হোক তার দাওয়া।
তোমার কাছে একটি আরজী জানাই আমি
এই অসহায়ের সহায় হয়ে যাও তুমি।


তারিখঃ ০৮/০৭/ ২০২১ইং
বিকালঃ ০৫:৩০মিনিট।
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
(১২)ভালোবাসার ভিন্নধারা


এমন কাওকে ভালোবাসি রে....
হয়না তাঁহার সনে দেখা রে....
আড়ালে আড়ালে দুজন
তবুও একসাথেই সারাক্ষণ।
প্রেম জ্বলনে সদাই জ্বলি রে....


পুষ্প গন্ধে তাঁহার গন্ধ শুঁকি
মন জগতে তাঁহার খোঁজই রাখি।
নীল আকাশের নীলে নীলে
সদাই গো তাঁহার সংবাদ মিলে।
শুনি সংবাদ অস্থির হই রে....


সব পাখিদের ওই সুরে শুনি
আ'হা করে ওরা কীযে কানাকানি।
ওই ময়ূরের গোটা শরীর জুড়ে
রূপ পেল ও কোন ছোঁয়ার জোরে।
দিগদিগন্তে ওই রূপের ঝলক রে....


সব রূপ ঝলকে আমায় যেন টানে
অস্থির মনে ছুটি প্রিয়র পানে।
হৃদয় মাঝে প্রেমের বীণা বাজে
গভীর রাতে সুর তোলে গো কীযে!
ওহো কীযে মাতাল প্রেমিক রে....


ভালোবাসার ব্যাতিক্রম এ ধারা
প্রেম জগতের সবাই পাগলপারা।
কোথায় আছে এমন প্রেমের নজির
না দেখিয়া তাঁহার প্রেমে অস্থির।
পারলে তাহা দেখাও একটু রে....


তারিখঃ ২৯/১০/২০২১ইং
সন্ধ্যাঃ ০৭:৩০ মিনিট।
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
(১৩)রমজানের বরকতে


বসেছি সামনে প্রভু ইফতার সাজিয়ে
তুলিনি মুখে হয়নি সময় তোমারই ভয়ে।
তোমারই ভয় বিরাজমান রোজাদারদের দিলে
তাইতো মুখে নেয় না কিছু সময় না হলে।


হাত তুলে দু'য়া মাঙ্গি পেতে তোমার দয়া
রোজা রেখে পাই যেন তোমার অটুট স্নেহ-মায়া।
তোমার জন্য সেই প্রভাত হতে এই সাজ অব্দি
সকল পানাহার থেকে রাখি মোদের মুখ বন্দী।


রোজা কেবল প্রভুর তরে নেই ভিন্ন খেয়াল
রোজাদার ব্যক্তির জাঝা নিজ হাতে দিবেন দয়াল।
ফল-ফলাদি পিয়াজু-চপ কত কী খাবার
খুলে দিয়েছো রমজানে তুমি রিজিকের ভান্ডার।


সারাবছর হয় এমনো কেউ পায়না ফল একদিন
রমজানের বরকতে কতো খাওয়াও ত্রিশদিন।
হে দয়ালু! হে প্রিয়জন! তোমার নিজ করমে
রহমত, মাগফিরাত, নাজাত দিলে গো রমজানে।


বান্দাদেরে বন্ধু করতে দিলে জান্নাতের অফার
তোমার পাগলেরা অফার পেয়ে হয় যে বেকারার।
ঘুম ছেড়ে সাহরীতে জেগে উঠে তোমার বান্দারা
তোমার কাছে তোমাকে চায় সব আশেকেরা।


কিয়ামুল লাইলে মাওলা আশা সওয়াব পাবে
কীয়ে মায়া ভালোবাসায় সেজদাপুরে ডুবে।
সাহরীহ্, ইফতারি মাওলা কবুল করো তুমি
তোমার আঁচল তলে ঠাঁই দাও ওগো জগতস্বামী।


আছে যতো তোমার মাওলা পাপকর্মের বারণীয়
তাওফিক চাই আছে যতই ভালো কর্ম করণীয়।
আত্মা করো পূত-পবিত্র তোমার নূর দ্বারা
বানাও তুমি হৃদয় জাহান তাজাল্লীর পাড়া!


তারিখঃ ০৬/০৪/২০২২ইং
সন্ধ্যাঃ ০৭:৪০ মিনিট।
আলীপুর, ফরিদপুর।
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
(১৪)বেঁধে রাখিও


এই নিশিতে তোমার ভালোবাসায়
ওগো অশ্রুজলে বুকখানা ভাসায়।
কত ঢঙে প্রিয় কত-ই যে ভঙিমায়
এ হৃদয় শুধু তোমায় মাওলা চায়।।


হাত তুলে দয়াল গভীর নিশিপুরে
ডাকি তোমায় ব্যথির করুণ সুরে।
চাই গো তোমায় আমি বারেবারে
তোমায় চাইগো তোমারই দরবারে।।


এই শবে ক্বদরের রহমতের চাদরে
জরিয়ে নাও গো আমাকে আদরে।
যাবো না কভুও তোমার হতে দূরে
বেঁধে রাখিও আমাকেই শক্ত করে।


তারিখঃ ২৭/০৪/২০২২ইং
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
(১৫)মাদিনার ভালোবাসা


মাদিনার ভালোবাসা আমার হৃদয় জুড়ে
গাই তার প্রেমের গান আমার ভাঙা সুরে।
এই জীবনে মাদিনার রঙ-ঢঙ,
এই হৃদয়ে মাদিনার বয় গাঙ,
আমার প্রাণ ছুটে যায় মাদিনার ওই তীরে।।


মাদিনার ভালোবাসা মহান আল্লাহর পর
এ জমিনের সব প্রিয়র ভালোবাসার উপর।
ওই মাদিনা প্রিয়র ঠিকানা,
ওই মাদিনা কভু ভুলবো না,
মাদিনার ভালোবাসায় সদাই অশ্রু ঝড়ে।।


মাদিনায় হৃদয় চোখেরা সদা রাখে নজর
মাদিনা ধ্যানে মোহিত হিয়া কতো যে সুদূর।
ওই মাদিনা খেজুর গাছের সারি,
ওই মাদিনা আশেকরা দেয় পারি,
ওগো আল্লাহ্ দেখো একটু চেয়ে অভাগারে।।


ওই মাদিনা রওজা দেখার কপাল কবে হবে
প্রভু মোরে ভালোবেসে মাদিনা নিবে কবে!
এই হৃদয়ে মাদিনার সুর বাজে,
এই জীবনে মাদিনা ভাঁজে ভাঁজে,
সয়না প্রাণে আর প্রিয় ছেড়ে থাকা দূরে।।


আমি গো দূরে থেকেই একলা শুধু ভাবি
ও মোন ডানা নেই তোর ডানায় উড়ে যাবি।
ওই আকাশে পাখিরা ডানা মেলে
ওই পাখিরা মাদিনা যায় চলে,
আল্লাহ কতদিন আর থাকবো আমি পরে।।


তারিখঃ ২৭/০৭/২০২১ইং
দুপুরঃ ১২:০৫ মিনিট।
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
(১৬)জীবনবেলা শেষ


সেদিন দেখেছি চেহারাটা মোর
কত না যে মসৃণ
ছিল যে কত সূশ্রী অবায়ব
দাঁড়ি মোচ বিহীন।


এই চেহারায় দাঁড়ি আসিলো
কবে তা পাক ধরিলো
চোখের জ্যোতি কত যে প্রখর
কোথায় তা হারালো?


চশমা ছাড়া দেখিনা চোখে
ছোট্ট কিংবা দূরে
হায়'রে কোথায় গেল সে জ্যোতি
ভাবিলেই অশ্রু ঝড়ে।


হায়'রে আমার সবল দেহ
নুব্জ হইয়া গেছে
একসঙ্গে হাঁটিতে গেলে
পরে যাই একা পিছে।


এই শরীরতো এমন ছিলনা
বয়েছিল ভারি বোঝা
আজ একটি ব্যাগ হাতে নিলেই
হতে পারিনা সোজা।


টান চামড়া মোর ঘুচাইয়া গেল
হারালো ঝড় যৌবন
বসন্ত হ্মন বিদায় নিলো,এলো
রুহ্মতাময় জীবন।


আমার সর্বাঙ্গ কাপে থর থর
দূর্বল লাগে বেশ
বুঝে গিয়েছি বাকি নাই আর
জীবনবেলা শেষ।


তারিখঃ ২৯/০৮/২০২১ইং
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~


(১৭)সেই দিনের স্মরণে


দু'চোখ দিয়ে অশ্রু ঝড়ে সেই দিনের স্মরণে
যেদিন আমি পতিত হব ঐ কবরের গহীনে।
ধরবে যখন কঠিন হাতে ঐ সুনিশ্চিত মরনে
সবাই আমায় লুকাবেরে তিন শুভ্র আবরণে।


কান্নাকাটি করবে সবে আমারই শোকেতে
তারাই আবার শোয়াইবে  অন্ধকার ঘরেতে।
আপন ও বন্ধু-স্বজনরাও ভুলবেরে একদিন
নাম-নিশানা পরিচয়টাও হবে মোর বিলীন।


বাড়ির গেটে থাকা সেই নামটা মোছা হবে
নতুন সদস্য তাদের গো নাম টানিয়ে দিবে।
বলতো যাদের তোমারা সেই লোকের ছেলে
ডাকবে তাদেরকে সবে অমুকের বাপ বলে।


চিহ্ন থাকবে না কোথাও মিটে যাবে একদম
সেই কথা ভেবেই কাঁদিরে আমি এক অধম।
বিছানা বালিশ ছাড়া ঐযে কবর ঘরের যাত্রী,
তবুও কেন উদাসীনতায় ভুগছি দিবারাত্রি।


লাগবে সেথায় যে পাথেয় অন্ধকারের আলো
বাকি পথটা ও ভোলামন সজাগ দৃষ্টি মেলো।
দিবসরজনী জাগ্রতচিত্তে থাকবে সেই ধ্যানে
দুচোখ দিয়ে অশ্রু ঝড়ে সেই দিনের স্মরণে।


তারিখঃ০১/০৩/২০২২ইং
রাতঃ ০২:১০ মিনিট।
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
(১৮)প্রথম তারাবী


চল যাই মসজিদে আজ প্রথম তারাবী
ক্ষমা চেয়ে প্রভুর কাছে গুনাহ্ ঝরাবি।
পিছনের সব ভুলের জন্য চেয়ে নে ক্ষমা
পরকালের জন্য কিছু করে নে জমা!
তারাবীর নামাজ পড়ে রহমত চাইবি!!


এগারো মাস নয়ছয় করে কাটাইলি
শক্তিধর ঐ মহান রবের হুকুম না মানলি।
দয়া করে হায়াত যখন দিলেন রমজানে
ইমান আমল ঠিক করে নে সাচ্চা মনে।
আজ প্রভুর বন্ধনে তুই নিজেকে জড়াবি।।


কিয়ামুল লাইল আর সিয়াম সাধনায়
পৌঁছে দিবে মঞ্জিলে তোমায় আর আমায়
যেমন এসির বাতাসে শরীর হয় শীতল
আত্মা শান্ত রমজানে নফ্স হয় কতল।
দয়ার দানে সর্গ লাগে এই সবুজ পৃথিবী।।


তোর আপনজন যাদের সাথে ছিল দূরত্ব
কাঁধে কাঁধ মিলাবি আজ তুই পাবি মহত্ত্ব।
আজ রমজান এলো বসুন্ধরার সব খুশি
হাসছে তাই ঐ নীলিমায় বাঁকা শশী।
সাহারি খেতে সবাইকে সবে ডাক দিবি।।


তারিখঃ০৩/০৪/২০২২ইং
ভোরঃ ০৬:১১ মিনিট।
আলীপুর, ফরিদপুর।
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
(১৯)ধন্য প্রেমস্বাদে


রুমী'র কাছে আসার সুবাদে
ধন্য আমি মাওলা প্রেমস্বাদে।
মাওলা পাওয়ার পিপাসা হরদম
মা'বুদ পথে চালাই সব কদম।
তার মহব্বতের তীর সদা বিধে।।


চারোদিকে রুপ রংয়ের বাহার
রুপ দেয় যে সেই করে সংহার।
তাহার হাতে সব কায়েনাত সৃজন
সব সৃষ্টিতে একত্যের গুঞ্জন।
ঐ ইশারায় আলোময় রবি চাঁদে।।


আধাঁর জাহান সূর্যে আলো হয়
ফুলবাগে কী ফুল সুবাস ছড়ায়!
মৌমাছিদের মধুর ওই চাকে
বিস্মিত মন অবাক হয়ে থাকে।
কে রাখিলো কোন বাধনে বেঁধে?


তোমার ভালবাসা থাকলে বুকে
থাকি আমি খুব আরামেই সুখে।
তাকওয়া জীবন খুবই মজাদার
হলে মাওলা আমার জিম্মাদার।
গুনাহ্ ত্যাগের খুব আমোদে।।


ঐশী রুপে টানে উর্ধ পানে
প্রেমীহালে থাকি প্রেম উদ্যানে।
তোমায় বিনে লাগে খুব অস্থির
বুকে লভিলে হবে মনস্থির।
তাঁহার অপেক্ষায় মন যে কাঁদে।


ভাল লাগেনা কোনো সোভা চোখে
একজনেরই সোভার পিয়াস বুকে।
তাঁহার ব্যাদনায় কাতর সারাক্ষণ
হোক এ প্রানে প্রিয়র আগমন।
নাচবো আমি ভীষণ আনন্দে।।


তারিখঃ ১১/০৬/২০২১ইং
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
(২০)ব্যাকুল তোমার ঘ্রাঁণে


তোমায় ভুলি কেমনে! তুমি হৃদয়ের গহীনে
অহর্নিশিতে ডুবি একমনে, তোমার স্মরণে।
তুমি আমার পরাণে, তুমি ছন্দ আর গানে
দিল ছুটে যায় অন্বেষণে, তোমারই টানে।


তুমি শয়নে-স্বপনে, তুমি গোপনে-ওপেনে
জাগ্রত কী ঘুমের ভানে, তবু নিবিড় বন্ধনে।
তুমি প্রেমময় নয়নে, তুমি জোয়ারে-উজানে
যেদিক তাকাই শুধু টানে, মায়াল আকর্ষণে।


তুমি হরদম জবানে, আছি তোমার অধীনে
তৃষিত বুকে শান্তি আনে, নামের সুরা পানে।
তুমি আসমানে-জমিনে, তুমি সামনে পিছনে
সর্বসোভায় প্রিয় মহানন্দে, তোমার ঘ্রাঁণে।


তারিখঃ ৩০/০১/২০২২ইং
বিকালঃ ০৪:৫৫ মিনিট,
ধলার মোড়, ফরিদপুর।