কারো আসার কথা ছিল;
তাই দুয়ার খুলে অপেক্ষায় আছি
বিছানায় মাথা দিতে আমার সত্যি মন চায় না
তার অপেক্ষার প্রহর গুনতে নিদারুণ মজার লাগে!


তবে জানি না সে কি চাঁদ হয়ে উদিত হবে
নীলাদ্রি পেরিয়ে ঐ সুদূর নীহারিকার
সামিয়ানা টাঙানো আকাশে;
নাকি সূর্যের মতোই আমাকে দেখার পরেও
মুখ লুকিয়ে যাবে ঘন কালো মেঘের আড়ালে।
সে কি জোৎস্নার আলো হয়ে ঝরে যাবে
শিশির ভেজা ঘাসফুলে-
আলতো করে ধুইয়ে দিবে দু'টি পা
আমি বুঝতেও পারবো না তার মধুময় স্পর্শ।


সে কী এসেছে নাকি আসবে?
বলো কেউ আমার জানার আগ্রহে প্রবলভাবে
অস্থিরতা তৈরি করছে!
জানতে চেয়েছিলাম ওই জোৎস্না স্রোতের
প্রতাপময় তরঙ্গের আগমনীতে;
হয়েছে কী এমন কারো সাথে দেখা?
যার পথচলা শুধুই আমার লক্ষ্য পানে
শত ক্লান্তি আর রোদের প্রখর উত্তাপেও,
পিচঢালা কালো রাস্তায় হাঁটাহাঁটি করে
এদিকে ওদিকে খুঁজে বেড়ায় সারাক্ষণ কাউকে।


যদি এমন কাউকে দেখ বলে দিও
এই আমার কথা, দিয়ে দিও হৃদয় প্রান্তের ঠিকানা,
সে আসবে ভেসে শ্রাবণে সাদা
মেঘপুঞ্জের ভেলায় নীলাঞ্জনা হতে।
আবার এমনও হতে পারে সাগরের উত্তাল ঢেউয়ে
আছড়ে পড়লো আমার হৃদয় তটস্থে;
কিংবা ঝিরিঝিরি বৃষ্টির শব্দটা শুনিয়ে,
যখন আমি ভিজতে থাকবো তার মাঝে।


সে বৃষ্টি হয়েই আসুক না!
যে রূপে আমার সামনে প্রকাশ হোক তবুও একটু একটু আদর, সোহাগ, ভালো বাসুক না!


তারিখঃ ১৮/০৪/২০২২ইং
রাতঃ ০১:১৮ মিনিট।