দুঃখগুলো যদি হয় মোর সঙ্গী নিত্য প্রহরের
কী অবস্থা হয় বলো গো তখন অন্তরের!
আকাশের কান্না থামে মেঘ সরে গেলে
ঝর্ণাদের কান্না থামে বলো কোন কৌশলে?
আজ নিদারুন করুণ দৃশ্য হৃদ-শহরের।।
কী অবস্থা হয় বলো গো তখন অন্তরের!


ভাঙা কাঁচ জোড়া লাগলেও রয়ে যায় দাগ
হৃদয়-মন ভেঙে গেলেও যে রয় অনুরাগ।
অনুরাগের অনুরোধে স্মৃতিগুলো ভাস্বর
হৃদয়ের ফুলগুলো হয়ে যায় অনুর্বর।
সইতে না পারার দহন জ্বলে অন্তঃপুরের।।
কী অবস্থা হয় বলো গো তখন অন্তরের!


শ্রাবণের আকাশের মতো দুঃখ বয়ে ভাসি
ঝরে না মনস্তাপের বারি তবু মুখে শুভ্র হাসি।
হৃদয় চাপা আগুন হতে তুষেরআগুন শ্রেয়
তবু সয়ে চুপটি করে লিখবো গান হে প্রিয়।
অন্তমিল হবে নাকি জানি না এই গানের!!
কী অবস্থা হয় বলো গো তখন অন্তরের!


সকালে ফুলের মালা বিকালে বিরহজ্বালা
কখনো ঘোর আঁধার কখনো আলোর মেলা।
কখনো এই শোন না! কখনো দূরে যান না!
কখনো মরুভূমি কখনো বা সে ঝড়-বন্যা।
পরিচয় পরিচিত তার সময় আসে প্রণয়ের।।
কী অবস্থা হয় বলো গো তখন অন্তরের!


তার অপেক্ষার মূহুর্ত গুনতে নিদারুণ শঙ্কা
বাজবে কখন প্রাণকেন্দ্রে সেই প্রাপ্তির ডঙ্কা।
সে বাঁজাবে দুল ফুঁটাবে ফুল নাকি অভিনয়
বিজয় উল্লাস করবো নাকি হবো পরাজয়।
চিন্তায় আজো নিদ এলো না আমি ভ্রমরের।।
কী অবস্থা হয় বলো গো তখন অন্তরের!


যদি হতো আকাশটা নীলিমায় ভরা আমার
কাশফুল ভরা থাকতো হৃদয়ের দুই ধার।
সুখের বাতাস বয়ে আনতো তোমার ঘ্রাণ
শীতল হয়ে যেতো যে আমার এ ক্লান্ত প্রাণ।
বারোমাস বসন্ত হতো আমার জীবনের।।
কী অবস্থা হয় বলো গো তখন অন্তরের!


তারিখঃ ১২/০৫/২০২২ইং
সন্ধ্যাঃ ০৬:৫৮ মিনিট।