তোমার নামে মুক্তি পেয়েছিল যে দস্যু রত্নাকর,
জনগণ আজ সেই নামে কাঁপে সন্ত্রাসে থরথর।
আজ রামনামে রাক্ষস ঘোরে হাতে নিয়ে হাতিয়ার,
রত্নাকর আবার জেগেছে বাল্মীকি নেই আর।
যে রামনামের অমৃতস্পর্শে পাথরে জাগলো প্রাণ,
সেই নামে আজ আকাশ-বাতাসে ভাসে বারুদের ঘ্রাণ।
এ কোন দামামা চারিদিকে দেখি বাজিছে বারংবার,
ঘনঘন তার শর নিক্ষেপ গান্ডিব টংকার।
জীবনে মরণে সুখে বা দুঃখে তোমারেই প্রভু স্মরি,
আজ সেই নাম মুখে নিতে গিয়ে সন্ত্রাসে কেন ডরি?
তোমার নামের ধ্বজায় বহে যে চির শান্তির বাণী,
কেন তাহা আজ কুটিল মন্ত্র লোকে করে হানাহানি?
নরাধম যারা তোমার বর্মে হাতে তুলে নেয় হাতিয়ার,
রাম ও রহিমে বিভেদের ফাঁকে করে ধর্মের সংহার।
তোমার নামেতে স্বার্থ মেটাতে ভেদাভেদ করে যারা,
মানুষে মানুষে দাঙ্গা বাধায় করে ভিটে মাটি ছাড়া।
আজ যে তোমার অগ্নিপরীক্ষা হে পতিত পাবন,
ধ্বংস কর হে রাজা মনের অসুর, মারীচ, মায়াবী রাবণ।
হৃদয়ভেদী সীসার আঘাতে, শুনেছ কি বাপুর আর্তনাদ,
তাহাই দেখো বিদ্বেষ বিষে আজ ভাঙছে রাষ্ট্র্ববাদ।