কারবালায় ইমাম হুসাইন বলেন
দেখো হে পাপিষ্ঠ ইয়াযিদ সৈন্যদল,
আমি বিদ্রোহী নই,নবি দৌহিত্র আমি মুসলিম
যুদ্ধ করতে আসিনি আমি ।
দেখ না আমার সৈন্য নাই,অস্ত্রাগার নাই।
আমার সঙ্গে আছে আমারী স্ত্রী,পুত্র,কন্যা
আছে ভাই-বেরাদর ও কয়েকজন
একনিষ্ঠ ঈমানি আপনজন।
দেখো তোমরা আমার কোনো সৈন্য নাই।


এই পবিত্র মহরম খোদার মাসে
আমি কারবালা পর্যন্ত এগিয়ে এসেছি
একটি দায়িত্ববোধের শুভ তাড়নায়।
আমার নানা আল্লার রাসূল শেষ নবি
মা আমার জান্নাতের সর্দারনি
শেরে খোদা আলি আমার পিতা
আমি হুসাইন নানার ইসলাম কে
প্রতিষ্ঠা করতে, সত্য দ্বীন কায়েম করতে
এসেছি এই পিপাসিত কারবালায়।


নিজ স্ত্রী পুত্র কন্যা ও নিকট আত্মীয় নিয়ে
ইমাম হুসাইন বলেন- হে প্রাণ প্রিয় আমার পরিবার
আমরা শহীদ হতে এসেছি,
ফোরাতের তীর আমাদের জন্য বন্ধ করা হয়েছে
পিপাসিত হয়ে কাতর হয়োনা তোমরা
হাওযে কাউসার তোমাদের অপেক্ষায়,
এখানে তাবু গাড়ো, এখানেই ছাউনি ফেলো
অনুভব করতে পারছ কি শীতল হওয়ার
আমরা শাহাদাতের সুধা পান করবো কারবালায়।


সত্যের জন্য ন্যায় প্রতিষ্ঠার জন্য
শাহাদাতের এ ঐতিহ্য আহলে বায়েত থেকেই
ছড়িয়ে পড়বে সারা বিশ্বে প্রত্যেক যুগে যুগে।
তবে দেখো হে ইয়াযিদ পাপিষ্ঠ সৈন্য দল,
যুদ্ধ করতে আসি নি আমি।
আমার সৈন্য নাই,অস্ত্রাগার নাই।
আমি বিদ্রোহী নই,নবি দৌহিত্র আমি মুসলিম,
আমি প্রতিবাদ করতে এসেছি,
ধর্ম ও রাজনীতি আলাদা বিষয় নয়।