শীত এলেই মনে পড়ে আমার
ছোট্ট বেলার কথা,
একসাথে খুব ভোরে দু'ভাই মিলে
হালকা পায়ে বড়ই কুড়াতাম,
বেশিরভাগ ই চুরিই করতাম,
খেতাম লবন দিয়ে দিন দুপুরে।


মুন্সি গাছি আসত সাজ বেলায়
খেজুর গাছে উঠে বসিয়ে দিত হাড়ি,
সকাল বেলায় আসত আবার
রস নামাতো গাছ হতে, আর
একদিন বাদে একদিন রস দিত
পালা বদল করে।


কাচা রস খাওয়ার লোভে হা করে রইতাম
খেজুর গাছের দিকে তাকিয়ে,
পড়ত ফোটা ফোটা খেজুর রস
খানিক বাদে বাদে-
কিছু মুখে আর কিছু চোখে
তবুও থাকতাম হা করে।


লম্বা খেজুর গাছটি ছিলো নানুদের
একদিন পাবে গাছি
পরের দিন পাবে মালিক,
এভাবেই কথা হত গাছির সাথে
তার মেহনতের বিনিময়ে ,
গাছি ও রস দিতো নিয়ম করে।


খেজুর রসের নানান পিঠা
নাম জানা আর কত অজানা
খেতাম খুব মজা করে,
মাঝে মাঝে সবার আগে
মায়ের সাথে উঠে যেতাম
পিঠা খাওয়ার তরে।


হঠাৎ একদিন শুনতে পেলাম
মুন্সি গাছি এই ধরাতে নেই
চলে গেছেন পরপারে,
খেজুর গাছটি অবহেলা আর অযত্নে
রইলো সটান দাড়িয়ে
একরাশ দুঃখ কষ্ট ভর করে।


শীত আসে প্রতিবছর
ষড় ঋতুর অাবর্তনে
জানান দেয় হিম বাতাসের মৃদু স্বরে,
শীতের আগমনে আর কেউ আসে না
মুন্সি গাছির মত পারিশ্রমিকের বিনিময়ে
কোনো গাছি খেজুর রসের তরে।