ওগো প্রেয়সী!
তোমাকে পাওয়ার বাসনা কি অন্যায়
তোমাকে বুকে লালন করা কি অপরাধ?
তোমাকে নিয়ে স্বপ্ন দেখা কি পাপ?


তোমার মন পিঞ্জরে বসত গড়ার তীব্র কামনা
আমাকে সারাক্ষণ তাড়া করে বেড়ায়
তোমার রুপালি শাড়ির ছোয়াতে আকুল
তোমার ছবি দেখতে থাকিযে ব্যাকুল
এসকল ইচ্ছে কি কেবল মিছেমিছি!
তবে তোমাকে প্রশ্ন রাখি,


কেন সন্ধ্যা হলে পাখিরা নীরে ফিরে?
কেন নদীরা ব্যাকুল হয়ে ঝাপিয়ে পড়ে সাগরের বুকে?
কেন প্রজাপতি ফুলের মধুতে সুখ খুঁজে?
কেন বিচ্ছিন্ন হয় না ঝিনুক গভীর সমুদ্রের
অতল গহ্বর থেকে?


চন্দ্র, সূর্য যেমন অনাদিকাল হতে ঘুরছে
পৃথিবীর চারিদিকে, বিমুগ্ধ চিত্তে তারা
একে অপরকে প্রণতি জানায়
এক গোপন আকর্ষণে,
তেমনি আমি তোমাকে দেখি দুনয়ন ভরে
বার বার ফিরে আসি একটু ভালবাসা পেতে।


তুমি তো শুধু তুমি নও
তোমাতে মিশে আছি আমি,
এই আকাশের বিশালতা যেমন মাপা যায় না
সাগরের মিতালী গুনা যায় না,
তেমনি কতটা ভালবাসা রয়েছে এই হৃদয়ে
তা কেবল তুমি ছাড়া আর কেউ বুঝবে না।


মেঘেরা যেমন উড়ে বেড়ায় দিগন্তহীন ভাবে
ঐ নীলিমার বুকে, মাঝে মাঝে মুখ লুকায়
একটু শান্তির অন্বেষায়,
তেমনি তোমাতে সুখ খুজে পাই
এই অবাধ্য মন নিভৃতে, নিশ্চুপে
তব শরীরের রন্দ্রে রন্দ্রে হেটে বেড়াতে চায়।


তোমাকে পাওয়ার বাসনা যদি হয় অন্যায়
তবে জেনে রেখো, কসম তোমার ঐ মায়াবি বদন,
নাসিকা,চুলের, হাতের, পায়ের, টানা টানা দু চোখের
কসম তোমার স্রষ্টার, প্রভু মহান খোদার
এই অন্যায় আমি বার বার করতে চায়,
যতদিন তোমাকে কাছে না পায়।


তবুও তোমাকে চাই
আর কিছু পাই বা না পায়।
একবার আঁখি মেলে তাকাও সম্মুখ পানে
একবার হাত বাড়াও স্বপনে -জাগরণে
দেখবে দাড়িয়ে আছি আর চেয়ে আছি
তোমার পথ পানে....