যেই কুটিরে থাকিগো বন্ধু
তাহা খেজুর পাতার।
সেথায় সুখের স্রোত বয়ে যায়
ছোঁয়াতে মাতা-পিতার।
মাতার যতনে পিতার সোহাগে
এ যেন স্বর্গপুরী।
মাতারে কাঁদিয়ে বাপরে ছাড়িয়ে
যাবে কোন যমপুরী।
কাহার আদেশে, মনের হরষে
মায়েরে কাঁদাও ভারী।
কার মোহে আজ অন্ধ হয়েছ,
এ কোন বেহেয়া নারী।
বাবার হৃদয় ভাঙ্গিয়া আজিকে
কোথায় দাওগো পাড়ি।
তোমারে যে সে করেছে বড়,
জীবনের সুখ মারি।
ছোটকালে তুমি ছোট কুটিরে
করেছ বাহানা যত,
মাতা-পিতা তাহা করেছে পুরণ,
কষ্ট সহেছে শত।
যত দুর্যোগ, যত দুর্ভোগ,
এসেছে জীবন মাঝে,
তোমাকে আগলে রেখেছে বুকেতে,
ভারি বর্ষণে ভিজে।
এমন মায়েরে, এমন বাপেরে,
কেন ভাব আজ পর।
কিসের নেশায় ছুটিস সেথায়,
এ কোন মায়াবী ঘর।
ভেবেছ কেমনে হেথায় তুমি
সুখ ময়ুরী পাবে?
বাবা-মা ছাড়িয়া তুমি সুখী হলে,
বিধাতা-ই মিছা হবে।
অট্টালিকা হোক, অভাব না থাক,
তবু নাহি সুখে রবে।
সেদিন তুমি সুখ খুঁজে পাবে
কুটিরে ফিরিবে যবে।
অনুরোধ করি তোমারে বন্ধু
ফিরে চল সেই ঘরে।
বিধাতার কাছে প্রিয় হয়ে যাও
মা বাবার সেবা করে।