বন্যার জল বাড়িয়ে চলেছে চারিদিকে হাহাকার,
ঘর-বাড়ী আর পথ-ঘাট সব হয়ে গেল ছারখার।
ঘর ছাড়া আজ হাজার মানুষ পানির উপর ভাসে,
মানুষের সাথে বাস করে সব কীট-পতঙ্গ পাশে।
বন্যার এই কড়াল গ্রাসে মোরা সবে অসহায়,
উপোস থাকি, দুঃখে ভাসি, নাইতো কোন উপায়।
ভাত নাইকো, পানি নাইকো, নাইকো কোন আশা,
নাজেহাল আজ চেহেরা যেন, আজিকে ভিখারী দশা।
মোদিত নয়ন খুলিলেই দেখি, থইথই সব পানি,
জীবন আজিকে শেষ হয়ে যাবে! না বুঝি নাজানি।
বস্ত্র সবই চুপসে গেছে শীতে কাঁপি তরতর,
পানির উপর ভাসিয়া বেড়ায় দেখা নাই কোন ঘর।
শিশু কাঁদে, বৃদ্ধ কাঁদে, কাঁদে ক্ষুদার জ্বালায়,
সবার মাঝে দেখা দিল নানান রকম বালাই।
কলা গাছের ভেলায় বসে কষ্টে কাঁটায় দিন,
একটুখানি নড়বড় হলে বাজিবে মরণ বীণ।
যেই রাজপথে ছুটে বেড়াইত নানান রঙ্গের গাড়ী,
সেই রাজপথ নদী হইল, নৌকা ভেলার সারি।
যেই জনপথ, জনতার প্রাণ, সেথায় জলরাশি,
জন জীবন আজ বিগ্ন করিল বন্যা সর্বনাশী।