বৃষ্টি, দোহাই রে তুই আর ফেলিস না বাঘের মতো থাবা!
দেখ্ তোর ঝরনে ভিজছে ভীষণ- না ফেরা এক বাবা।
ও- রিক্সা চালক; খায়নি কিছু-, হয়ত সন্ধ্যে বেলা
তুই এমন সময় এলি-, বলি, সত্যি ছেলে খেলা।
ও ফিরে যেত ! ওর ঘরেতে-, তখন না হয় এলে-
তোর হতো ক্ষতি-! একটু বেশি থাকলে মেঘের জেলে ?
এই গরীব জেলে পাঠিয়ে ওদের, বলি রে তোকে বৃষ্টি
তুই ওদের থেকে হাটিয়ে নিস কেন রে তোর দৃষ্টি?


ওর মেয়েটা চেয়ে, বউটা চেয়ে- পথের পানে রে
তুই আর কাঁদিস না, এখন, বড় লাগছে প্রাণে রে।
বৃষ্টি দোহাই রে তাই এমন বেলা ঝরিস না তুই আর
তার সবেতে মাটি ফেলতে কি- তোর নেই কোনো কারবার ?
তুই কালকে ঝরিস আমার উপর, না হয় অঝোর ধারায়,
আমি তাতেও রাজি, রাজি, যদি- আমার গৃহ হারায়।