হাসপাতালে ভর্তি আজও স্বপন।
কাল মরতে দেখলাম হিমাংশুকে।
শুনলাম কাল বা পরশু তাপসের জীবনের শেষ  দিন।  
এদিকে দুই মাস ধরে মৃত্যুর সাথে লড়াই করছে অমরেশ।


নতুন বিয়ে করা গোবিন্দ বেশ সুখে আছে দু মাস ধরে।
লক্ষ্মীকান্ত কিন্তু গোবিন্দ হতে পারেনি আজও।
'মালা আজও চন্দনা হয়ে উঠতে পারেনি'...।
রঞ্জনের তেমন বোধশক্তি নেই।
ভালোকে পাথর ছোড়ার অভ্যাস তার সর্বদাই।
তেমন অনেকেরও...!
গনেশ, সুমন, মিলন, পাপাই'য়েরা–
পুরঞ্জন কিংবা বাবলুদা'র প্রজন্মকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার চাকা।
ওরাও ধীরে ধীরে সামিল হচ্ছে– মস্ত এক স্বাধীনতায়।    


ওরা জানে না–
লাল নীল জলগুলো কেবল শিরা-উপশিরায় গিয়েই মেশে।
ছাইয়ের মতো ধূলোবালিগুলো কেবল লালরক্তের সাথে গিয়েই মেশে।
ফু ফু করা ঘনধুঁয়োগুলোও কেবল তার অক্সিজেনের সাথে গিয়েই মেশে।


ওরা নির্বোধ। ওরা জানে না যে–
ওদের ছুটি মানে আনন্দ মানে
'মৃত্যুকে আলিঙ্গন করা ছাড়া আর কিছুই না'...।