রোজ তোকে দেখি– তুই গোবর ছিটায়, ভীষণ কাকভোরে,
রোজ তোকে দেখি– তুই ঝাড়ু হাতে, বাড়ির প্রথম ফ্লোরে,
রোজ তোকেই দেখি, তুই কাপড় হাতে, কাঁচের জানালা-ডোরে।


রোজ তোকে দেখি তুই দাঁড়িয়ে থাকিস হলদে শাড়ী পরে,
রোজ তোকে দেখি– তুই স্কুলে যাস দশ'টার বাসে চড়ে,
রোজ তোকেই দেখি, তুই হেঁটে ফিরিস টাকাটা বাঁচিয়ে ঘরে।


রোজ তোকে দেখি তুই যেতে যেতে তাকাস খেলার মাঠে;
রোজ তোকে দেখি, তুই কলসি কাঁখে পদ্মাদীঘির বাটে,
রোজ তোকেই দেখি তুই কষ্টে ফিরিস; যখন সূর্য পাটে।


রোজ তোকে দেখি তুই প্রদীপ জ্বালিস, শঙ্খে দিস সারি,
রোজ তোকে দেখি, তুই সকল কাজে মত্ত থাকিস ভারি,
রোজ, তোকেই দেখি তুই নিজের নয়, পরের কাজের নারী।


রোজ তবে ভাবিও, তোর হাত বাটাতে- যাচ্ছি তোর ঘর,
তোর, ক্লান্ত শরীরে তোকে আরাম দিতে– দি মায়ের আদর,
তবে পারি না আমি করতে, কারণ– আমি নই তোর বর...।