সবাই ব্যস্ত !
কেউ হয়তো বকেয়ার হিসাব নিয়ে ,
আর, কেউ বা নবান্নের আয়োজনে ।
এমন কি প্রকৃতিও তার রুপ নিয়েই ব্যস্ত ।
সবার শরীরে নতুন নতুন পোশাক, আর
ছোটোদের কাছে নতুন নতুন খেলনা ।
চারিদিকে শুধুই খুশির আমেজ ।


অন্যদিকে চোখে পড়ল ---
উত্তরে ত্রিকোণী রাস্তা ,
তার কিছুটা দূরেই, বামদিকে-
একটি বড় অর্জুনের গাছ ,
তার পাশেই একটি ছোট্ট কুঁড়ে ঘর ।
কুঁড়েটির সামনের খোলা জায়গায়
একটি ছোট্ট বাছুর বাঁধা ,
এবং তার পাশে কিছু জ্বালানি পড়ে রয়েছে ।
নতুন নতুন জামা পরা কয়েকটি ছেলেমেয়ে
ঠিক তার দক্ষিণের মাঠে খো খো খেলছে ।
বাইরের চিতকার-চেঁচামেচি শুনতেই
ওই কুঁড়ে ঘর থেকে বেরিয়ে আসে
সাত কিংবা আট বছরের একটি ছোট্ট মেয়ে ।
পরনে তার হালকা সুতির বস্ত্র ,
বলতে গেলেই পুরোটাই ছেঁড়া এবং নোংরা ।
বেরিয়ে এসেই পেলায় বসে পড়ল
এবং করুন দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকল
ওই ছেলেমেয়ে গুলির দিকে ।


নবান্নের দিন--
বাবা হয়তো বাড়িতে নেই
হয়তো- কাজের সন্ধানে কোথাও বেরিয়েছে ।
ফিরতে অনেক রাত হয়ে যেতে পারে ।
আবদারটা শুধু মায়ের কাছেই ,
মা কে হয়তো ও বলেছে , কিন্তু---,
কিন্তু আর কি-
ওর মা হয়তো বাবুদের বাড়িতেই
বাসন মাজচ্ছে কিংবা ঝাড়ুপোছা মারছে ।
সন্ধ্যে নামলেই হয়তো ফিরবে
আর তারপর নবান্ন শুরু মেয়েটির
পোড়া রুটি দিয়েই-, আর
হয়তো শেষ- মায়ের কোলে ঘুমিয়েই ।