*** পাকিস্থানের পেশোয়ারে 'আর্মি পাবলিক স্কুল'-এ তালিবান হামলার প্রেক্ষাপটেই কবিতাটি লেখা । যাতে নিহত হয় ১৩০-এর বেশি মানুষ । তাদের মধ্যে ৯ থেকে ১০ বছরের ১০০ জনেরও বেশি  স্কুল পড়ুয়া ছিল। ঘটনাটি ঘটে ১৬ ডিসেম্বর ২০১৪ ।


  


  একটু খানি কোলাদর পাওয়ার আশায়
অপেক্ষায় ছিলাম, সকাল দশটা পর্যন্ত—
  শুরু হলো ক্লাসের পড়া, জানিনা কখন
জীবনে এল –হঠাৎ করেই অন্ত ।


  মাত্র-তো দশটি বছর, আরো কত বাকি
পুতুলের খেলা আর আরো স্নেহ পাওয়া,
  আমি,ভাবিনি-তো কভু,হে-হে আমার প্রভু
ছিলনা-তো আমার এমন কভু চাওয়া !


   পরনে আমার সেই সাদা জামা
মা,ভিজে গিয়ে হয়েছিলো –রক্তজবা,
    তখন থরথরে কাঁপতেছিলাম আমি
স্মৃতি হারালাম, হলাম জ্যন্তবোবা ।


  গুলিবিদ্ধ্ব গোটা। শরীর থেকে ক্ষনিকের জন্য
যখন পেলাম ফিরে অতীতের-স্মৃতি
  চোখ বেয়ে বেরিয়ে এল কয়েক ফোঁটা জল
ভেঙ্গে গেল তখন সব ভালোবাসার ভীতি ।


  ইচ্ছে ছিলো অনেক আমার, তোমায় ঘিরে
পারলাম না মা , পারলাম না, তবু--
  শাসন করতে , কান মলতে ভেবে
নিজেকে দোসারফ করোনা কভু ।


  আমি পারিনি, তাতে দুঃখ করোনা তুমি
আমার মতো আছে আর এক ছেলে,
  পেট ভরে যাবে আমার হেথায়
পেট ভরে , তুমি যদি  খেলে...।


  টিফিনের বাক্সটি যদি বা হতো খালি
আমার, পেট ভরে আমি খেলে
  সময় পাইনি মা ,দাওয়া দুই টাকায় ঝালমুড়ি কিনতে
তার আগে ভগবান আমায় নিয়েছে জেলে ।


                              (ক্রন্দিত সুরে)
যাওয়ার সময় শুধু একবার ইচ্ছে ছিলো
  মা, ঘুমাবো তোমার কোলে
প্রদীপটা নিভিয়ে দিতে তখন-
ইচ্ছে ছিলো, শিয়াল মামার গল্প শুনতে শুনতে—
সেই গান-শুনতে শুনতে--


"শিয়াল তুই কুমির ছানা
   খেয়ে যা , নিয়ে যা-
সোনা আমার গল্প শোনে
  ঘুমিয়ে যা , ঘুমিয়ে যা" ।