অন্ধকারের গলি ছেড়ে
নেমেছি আলোর পথে ,
আকাশের চাঁদ , তারা , জোনাকি
আর হাতে হ্যারিকেন রয়েছে সাথে ।
অসহায়ের নিত্য সাথী
মস্ত বড় এক লাঠি ।
রাস্তাটাও নেই কোনো সোজা,
মাথায় আছে আশি কেজির বোঝা ।
যেতেই হবে অনেকটা---
তাই দ্রুত হাঁটাহাঁটি ।


"ময়ূরখোলা'' গ্রাম ।
গ্রাম থেকে দশ কিলোমিটার দূরেই—
শান্তিমুদির দোকান ।
অপচয়হীন পাঁচ ঘণ্টার রাস্তা ।
তারপর পৌঁচ্ছে দিলেই অমূল্য রতন
তিনটি টাকা, সাথে আরো পাই !
বাঃ ! শিবু পথিক  বাঃ !
তুমি পেরেছো ।  তবে হ্যাঁ…..
কালকেও যেন ঠিক এই সময়েই ।
না হলে......
চাকরিটা যেতে পারে অকালে ।



(চলবে আরো)


বোঝার সুবিধার্থে :--অন্ধকারের গলি ছেড়ে/নেমেছি আলোর পথে । অর্থাত শিবু পথিকের বাড়ির ভেতরটা খুবই অন্ধকার ঠিক যেন অমাবস্যার প্রথম রাতের মতো ।   তবুও যখন বাড়ির গলিটা পেরিয়ে বাইরে আসে তখন  বাইরের চাঁদ, তারা, জোনাকি এবং হ্যারিকেনের সামান্যতম আলোটাকে-ই এখানে আলোর পথ হিসাবে বোঝানো হয়েছে । ওর প্রতিরাত্তির মধ্যহ্ন থেকেই শুরু কর্ম জীবন এবং ফিরে আসে পাখি ডাকার আগেই । বউ , নয় বছরের একটি ছোট্ট  মেয়ে ও তাকে নিয়েই  তার দৈনিকের  দৈন্যপরিবার ।