বেলা তখন সকাল গড়িয়ে, দুপুর হতে চলে ,
শিবু পথিক দাঁড়িয়ে এখনো, যাত্রী আসবে বলে...।


রিক্সা পাশে, পাশেই শিবু, আছেই পড়ে কোনে
মনটা শিবুর উদাস উদাস, ভাবনা শুধুই মনে  ।
একলা পথেই পান্থ ছাড়া নেইতো কেউই কাছে
সৌরবলের আম্রছায়ার নীচেই দাঁড়িয়ে আছে  ।
সকাল বেলার সকল খানা ফুরিয়ে গেছে পেটে
হয়তো কোনো যাত্রী এলেই মনের সাধ মেটে ।
অনেক্ষন হয়েই গেছে, দেখা কারোর নেই -
আলোস্যতায় চোখটা বোজে, ঘুমটা আসে তাই  ।
হঠাত তখন ডাক আসে, 'ওহে রিক্সাওয়ালা',
যাবে নাকি 'মতিঝিলে', চলো, হল বেলা  ।


নদীতে উঠল খুশির ঢেউ, ফুটলো ফুল বনে
ভাবল শিবু, অবশেষেই পেলাম একজনে...।
হ্যাঁ গো বাবু, যাবো যাবো, উঠুন- রিক্সায়,
এই বলেই শিবু পথিক একটা হ্যাঁচকায়-
করল শুরু , নিজের প্রথম যৌবনদূত বেয়ে,
ভরসাতো পেল অত্যন্ত , একটা যাত্রী পেয়ে  ।


রাস্তা তখন হয়েছে আধা, আধা আরো বাকি ,
যাত্রী বলল, ভাড়াটা এবার হোক না পাকাপাকি  ।
শুনেই শিবুর বুকটাখানা ধড়াস করেই ওঠে
বলল বাবু, এইটুকুতে কতই আর জোটে !
আপনি ভালো যা বোঝেন, তাতেই আমি খুশি
অল্পেতেও আমার এতে নেইকো কোনো তুষি  ।
যাত্রী তখন বলে, আচ্ছা! এ পথ তোমার নুতন
তাই বুঝি- এ ব্যপারেই তোমার অবপতোন ।


যেতে যেতেই দুই জনারই কথোপকথন বাড়ে,
'তিনটি টাকার বিনিময়ে আমায় কেউনা ছাড়ে' !
সর্বপ্রথম তোমার হাতেই পেলাম আমি ছাড়
নয়তো আমি ধোকাই খেছি , হাজার হাজার বার !
বলতে বলতে এসেই গেল মতিঝিলের গ্রাম
যাত্রী নেমেই, একের সাথে, আরো এক ইনাম !


শিবু বেচারা খুবই খুশি আজকের এমন দিনে - ,
ভাবতে লাগে, 'এবার আমি থাকবো না আর ঋণে' !




( চলবে আর )