‘আস্তে বাপু আস্তে ! আর পারছিনা যে হাসতে’-
   ব্যথা লাগে আমারও যে-, ‘হই না যতই ‘কাস্তে’ !
                         আস্তে বাপু আস্তে !
এসেই গেছে ধানের সিজিন-        আরোও আছে অনেক ‘রিজিন’
  ‘হাফরের ওই হাঁপটা ছাড়ি’-, ‘পারছি না যে কাশতে’ !
  আস্তে বাপু আস্তে ! আর পারছি না যে হাসতে ।


  বুকের মাঝে -ভীষন ব্যথা, পারছি না আর নাচতে-
  পারছিনা আর নিজের দেহ- কাঠ কয়লায় ভাজতে ।
                      আস্তে বাপু আস্তে !
ঠাণ্ডা করো হিমের জলে-,       পারছি না আর এমন হলে-
  তাইতো আবার বাধ্য হলাম, আজকে আমি বলতে- ,
  আস্তে বাপু আস্তে ! আর পারছি না যে হাসতে ।


  তেজের মাথায়- করলে ত্যাগ পারি আবার রাগতে !
  রেগেই গেলে বাধ্য হব  -হাতের আঙ্গুল কাটতে  ।
                   আস্তে বাবু- আস্তে !
ধীরে ধীরে যাচ্ছি গলে-       মরছি পুড়ে, ফেলছো জলে-!
  কষ্ট বাপু -খুবই আমার, পারছি না আর থাকতে ,
  আস্তে বাপু আস্তে ! আর পারছি না যে হাসতে ।


  সবই বুঝি-, মিছে কথা ! পারছি কেমন আঁকতে !
  ‘বোবা মুখেই বললে কথা’  -তোমরা তবে রাখতে ?
                  তবে, আস্তে বাপু আস্তে !
লাল হয়েছি ঠাণ্ডা হবো-          এর মূল্য ঠিকই দেবো !
  তবে আমার স্থানে এলেই বুঝি- জানতে তুমি জানতে ,
  আস্তে বাপু আস্তে ! আর পারছি না যে হাসতে ।


  এই যে এরা আমার পাশে- পারবে কি আর বাঁচতে !
   ‘ঢালের পিঠে ঢুলুর কাঠি’- পারবে তুমি সাজতে ,
                তবে, আস্তে বাপু আস্তে-,
আগুনেতে পুড়াও এত-         সইবো আর আমি কত  
  আচ্ছা বাপু, আর কত কাল- রইবো ‘তেরি বাসতে’ ?
  আস্তে বাপু আস্তে ! আর পারছি না যে হাসতে ।


  আমার এই দুটো কথা- পারছে না কেউ রাখতে !
  কষ্টখানা কেউ বোঝে না, পারবো কেমন থাকতে ?
                        আস্তে বাপু আস্তে !
রুপের মাঝেই বাঁকলে টুকু-         বুকটা তখন ধুকু-ধুকু ,
  তখন আবার ব্যস্ত আমি- ঠক্-ঠকাঠক বাজতে,
  আস্তে বাপু আস্তে ! আর পারছি না যে হাসতে ।