সেদিন হঠাৎ আমার হাতে
উড়ে এল এক শুকনো পাতা,
ঠন-ঠনে, জান ছিলোনা যাতে
ধুলি ধূসোরিত , -তবুও মাতা ।
তখন আমি রাস্তার মাঝে-
ভাবুক চোখে দেখতে ছিলাম
পাশে পচা ডোবা, গন্ধ বাজে-
আর একেতে নাক বুজিয়ে নিলাম ।
ভাবলাম আমি- ভগবান হয়তো
উপহার ভেবে দিয়েছে আমায় ,
কিন্তু আমি ভাবুক এতো
পুরেদি আমি, রেখেদি জামায়  ।
কিন্তু হঠাৎ পড়ল মনে-
‘এ কি আমি করছি বোকা’,
‘বনের জিনিস রইবে বনে,
থামা থামা , এক্ষুনি রোকা’!
তাই ভেবে- পুঁতেই দিলাম
পচা ডোবায়, পাঁকের পাড়ে -
এই ভাবেই  মুক্ত হলাম
আবোল তাবোল ভাবনা’আড়ে  ।


তারপর-
বেশ কিছুদিন-মধ্যখানি
ওই পথেতে হয়নি গমন,
পড়ল মনে-, ‘কিবা জানি
ও বা এখন- আছে কেমন’ !
তাই একদিন বেরিয়ে পড়ি
আবার একা –ওই পথে
বেলা তখন দুপুর ছাড়ি
সূর্য তখনো খুবই তাতে ।
পৌঁচ্ছে দেখি- অবাক হয়ে
শুকনো সেই পাতাখানা
প্রাণ পেয়েছে ,জ্যন্ত হয়ে-
ঠিক যেমন কচুরিপানা ।


তার-,
পাতা হয়েছে- কচি কচি
নিম্নে সাদা শিকড় গোছাই,
ভেবেছিলাম গেছে পচি
ভাবিনি হবে এমন রোচাই।
ভগবান আমায় উপহারেই
দিয়ে ছিল ওই  উপহার,
আমি তাকে মৃত ভেবেই
করেছিলাম প্রান পরিহার ।
বুঝিনি তখন ওই মৃত
আজকে আমার “পুরস্কার”,
বড়ো হলেই পাবো হয়তো-
ওরই দেওয়া নমস্কার ।