জীবনে চলা- এইতো তোমার শুরু হলো সবে  
বসলে কেন বন্ধু তুমি -, ‘ উঠতে তোমায় হবে ’ !
ধরতে তোমায় হবেই হবে-! আবার হাতে অস্ত্র
ভুলেই যাও, থাক্ না তোমার ! রাখো তোমার শাস্ত্র !
‘রৌদ্র ছায়ার আলোকবর্ষ’,- পেরানো তোমার চাই
হোক না তাতে তোমার ওহে- আবার পরিযায়ী’ ।
হোক না তোমার পাহাড় পথ , থামলে হবে না-
হ্যাঁ গো বন্ধু, ভেঙ্গেই পড়লে ! তা তো চলবে না  ।
এই যে দেখো মঞ্জিল ওই সামনে রূদ্ধ দ্বার
ভেঙ্গেই দাও- গুঁড়িয়ে আসো, থামছো কেন আবার ?
আচ্ছা তোমার ভয়টা কোথায় ? কোথায় তোমার বিপদ
কি কি কি ! ‘মৃত্যুর ভয়’- নিয়েছো আবার শপথ !
ভুলেই গেছো-! বিশ্বে তোমার জন্ম একটি বার ,
এটাও তো জানো তুমি- মরণ হবেই সবার ।
রক্ত তোমার- এতই ঠাণ্ডা ! এতই স্যাঁতস্যাঁতে-
সত্যি বন্ধু এমন করলে ভরবে না পেট এতে  ।
এই সব কাজ -ওদের শোভা , যারা তরুন নয়
যারা পেরিয়ে এসেছে এবং- যারা পরাজয়  ।
‘ র্নিভয় হও , সাহসী হও , হও না বজ্রমাণিক !
এক হাতে হও বীরসেনা আর একেতে হও জ্ঞানীক ’ ।
এইতো তোমার এসেছে সময়, বসেছো কেন তবে
মূর্খের মতো বসলে হবে-! ‘ বাড়বে বলো কবে ’ ?
আরে বন্ধু, সামনে দেখো- যাচ্ছো সরতে সরতে-,
‘সাগরের জল শুকলে তবে নামবে কি মাছ ধরতে’ !
দেখবে তখন অনেক দেরি , বয়সও অনেক তোমার
যতই হোক না বাহানা-আবদার, তখন নওকো ক্ষমার ।
  


স্ব--
(২২/১২/২০১৫)
হরিয়ানা, গুড়গাঁও
    মঙ্গলবার