জানো হে- দেশের মানব ,
যে পথে তুমি, আসতে যেতে,
        সেই চেনা পথ দিয়ে -
কবিতারা আজ নেমেইছিল
       ভিক্ষার থলি নিয়ে !


‘পরনে তখন ছিল-, সেইরূপ’,
        হেঁটেছিল গান গেয়ে,
‘যেন, সে এক পথিক রূপী-’ ।
       ‘অনাহূত এক মেয়ে’ ।
তখন তাকে দেখেই ভাবি-,
      হবে বা পথের কেউ !
কিন্তু যখন পরিচয়ে ‘আমি’,
      উঠল তখন ঢেউ ।
অসহায় দেখি।  জানিনা, আমি
         কিছুই তো বুঝিনি- !
যখন এল আমার দ্বারে
       " কবিতাই একাকিনী " ।


দেখেই তাকে জিজ্ঞাসিনু-আমি,
  ‘কে তুমি ?
        এই একেলা পথে’
  আজ, আমার দ্বারে,
       এই গভীর রাতে-
কি চাও, ‘ভিক্ষা’!
       বলিও-, হে মাতে ।
এমন কাঁপিছো কেন ? থরথরে-
       গেছে তো কবে মাঘ,
এই ফাগুন’বস্যার রাতে, -এই জীর্ন শরীর,    
      আবার রুক্ষ থালা, থাক্ !
তবে বল শিঘ্রীর-, কি চাও  !
       এই ফাগুন’বস্যার রাতে,
যদি থাকে ঘরে, তবে ভরব ঝোলা
       পাবে, তা- আমা হাতে ।


জানো হে- দেশের মানব ,
কবিতাই তখন সাহসিনী- হয়ে ,
      কিছুক্ষন থাকে নীরব ।
তারপর সে-
করুনার সুরে বলতে লাগে- আমায়,    
' আমি সঙ্গীহিনা, একা একা আজ
করুন সুরেতে, ভিক্ষাই মাগি ,
        মাগি হে- ‘দেশের স্বরাজ’ ।
যেখানে আমার- হবে তোমার সাথে
       একই ঘরেতে বিরাজ ।
পারবে কি দিতে ! এই অভাগীকে-
       একটু তেমনি স্থান,
যেইখানেতে- ভেঙ্গেই ভুল, স্বাধীন ফুলে-
        ফুটবে ,  সারা বাগান ।  
তুমি বুঝতে পারোনি হয়তো-,
        এ যে বিদ্রোহেরি গান !
এ যে-, তোমার আমার নয়গো লেখা
             নয়গো শাস্ত্র কথা,
এ যে, বিদ্রোহী কবি নজরুলের- ,
            রিক্ত-, মনের ব্যথা ।


শুনবার পর-, দিলাম ধিক্কার
       এটা বা কেমন কথা !
স্বরাজ পাবে কি- তুমি আবার !
     তবে,এইকি মনের কথা !
আমিও বললুল তাকে-,
          -হে অসহায় পথিক
তুমি, আজ যা চাইছো তা
          ভুল । নয়কো সঠিক ।
আজ, হাজার হাজার কবিতাও তো
        চাইছে এমন স্বরাজ !
তবে কি তারা পেয়েছে -! কভু
       ওরাও হয়েছে নারাজ  ।


আজ,  অসহায়ী হয়ে বয়ে যাও -তুমি
           তুলে নাও শত গ্লানি ,
আজ   স্বরাজ পাবেনা । পাবেনা পাবেনা-,
          স্বরাজের ভাঙ্গো বাণী  ।