বসে বসে ভাবি; ‘আমি এক কবি,’
কবিতাই শুধু লিখি,
কিন্তু যে আমি নই তত দামি
ফালতুই করি খি-খি ।
কিন্তু কি আমি- ‘করি ফাদলামি’
লিখি না ‘বৈশাখী’ ,
আমি বলি না বলে ' অন্যন্যা ' ,
‘নিজেকে দিয়েছি ফাঁকি’ ।
ভাবি তাই বসে; আমি কোন দোষে-
আজ হলেম কেন এমন !
সবাই তো হাসে, -সেই পরিহাসে,
তবে বাঁচি বলো কেমন ?
সবাই তো চায়; ‘আমি লতিকায়-
কমল হয়ে ঝরি’,
কিন্তু, কি করে-, আমি এই পারে,
তাদেরই আঁচল ভরি !
তবু হলে ‘পর’, উঠিয়েছি ঝড়-,
থাকিনি আমি স্তব্ধ,
ঘুঁচিয়েছি কালো , জ্বালিয়েছি আলো,
করে সব জব্দ ।
করে উপকার-, হায় ! হলো অপকার-
ঠাঁই দাও তুমি-,
তোমাদের বুকে না এলে সুখে-,
হবো যে দূরগামী ।
ভেবেছিলাম আমি, আমি দ্রুতগামী,
‘বৈশাখীর ন্যায়’,
কিন্তু কি করে ! আমি এই ঘরে
করলাম শত অন্যায় ।
বৃথা তবে সব-! আমি করেছি গরব
নীরব থেকেছি ভবে !
হায় তবে ভাই আমি এই জীবনেই
তোমাকে বুঝাই কবে ?
তোমরা কি জানো! আমি লিখি না কেন
বৈশাখী ঝড় হয়ে,
যদি না জানো তবে আসো কেন ?
ওই স্বাভাবিক পরিচয়ে ।