সেদিনের প্রভাতেই আমি দেখেছি তাকে,
আমার এই মনের- নানান গলিরি বাঁকে ।
গুলের জার জুড়ে ছিল চারিটি ধার
গুটি গুটি কত-শত কয়েকটি পরিবার ।
হাসির ফুয়ারা তুলে রাঙা ওই প্রভাতে-
স্ব-সরে বলল কথা এসে, আমারি সাথে ।
যদিও ছিল এটি স্বপনের-ই ডালি
তবু, ঘুরেছি কত- সেজে, মনেরি মালি ।
ওদেরই সাথেই কত আমি খেলেছি খেলা
কখনো সেজেছি গুরু, কখনো সেজেছি চেলা ।
এমনি করেই তারা মানে- ওই পরিবার
স্বপনেই আসতো যেত প্রভাতেই বার বার ।
কত লোকে বললাম; আমি আমারই মতো
ফুলেরও আছে জান আজ ওরা জাগ্রত ।
তারাও বলে কথা, যেমনে বল সবে ,
নিজেদের মাঝখানে তাই, তারাও হবে-
আজ আমাদের সাথী, আমাদেরই- ভাই
তাই চলো আজ ভালোবাসা বিলাই ।
কিন্তু, কি আর এই পৃথিবীর লোক
আমার এই বিশ্বাসে নিয়েছে কি ঝোঁক !
বদলে- দিয়ে আমায় পাগলেরই উপাধি
গড়েছে এই বুকেতে- মমিদের সমাধি ।
নিয়েছিল দুই এক আমার ওই কথা
যারা ঠিক আজও- স্বপ্নতে ভাঙে প্রথা ।
এমনি করেই গেল দিন মাস বছর
প্রভাতও এল কত তারাও হল গোচর ।
কিন্তু সে স্বপ্নে- আর আসে নি
আলিঙ্গন করে আর ভালো সে বাসেনি ।
কিন্তু ফের একদিন এল সে হঠাত !
সেদিনও ছিল সেই ঠিক আগের প্রভাত ।
তবে স্বপ্নেতে নয় , এসেছে হাকিকতে-
তাই দেখে আমি নামলাম সেই পথে-,
আমারই মনের মাঝে করতে অঙ্কন
আশাটাকে, ভাষাতেই আবার করতে আলিঙ্গন ।
রাগিনীর সুরে তবু খুবই ভালোবেসে
দুহাত জুড়ে ফের বলে ফেলি শেষে-,
ফুল তুমি ফুটেছো ! আজ এই প্রভাতে-,
তবে, আজ আলিঙ্গন করি, এই দু’হাতে
তবে তুমি থামো আমি আসছি এখন,
নিয়ে আসি একটি আমার, অলিখি লিখন ।
যাতে লিখবো এক ‘অল্প সে ভাষায়
অপঠিত ইতিহাস’, যা ছিল আশায় ।
এই বুক খানিতে জমা যত কথা,
আজ -এই ভোরেতে সব ব্যাকুলতা
ভাঙ্গবো, আমি পেয়ে একটু আলিঙ্গন,
যাতে অমৃত্ রূপী আমি পেয়ে চুম্বন-
ভরাবো এ বুকখানি । আমায় হয়তো তখন
বিশ্বাসে বিষ নয় তবে, দেবে জনগণ
বাহবা, হাতের তালি আরো, কত আলিঙ্গন,
তাই আজ প্রভাতে এসেছে, এই বালীগণ ।।