চলতে গিয়ে হোঁচট খেলে
বলতো বাবা আমায়;
‘রাখতে চোখ পথের মাঝে-
না যেন হয় কামায়’ ।
কিন্তু আমি করতাম ভুল,
ভুলেই গিয়ে আবার,
কারণ আমার হয়তো তখন
থাকতো আঙ্গুল বাবার ।
বলতো আরো; ‘পায়ের সাথে-
রাখতে পায়ের তাল
মনটা রাখিস্ পথের দিকে
ধরতে নিজের হাল’ ।
কিন্তু যে আজ ধরতে হাল
হাজারও হিমশিম,
জুটছে তাই! ‘শীত কালেও-
মজার আইসক্রীম’ ।
এখন বাবার অনেক বয়স
আমারও তো তাই !
নুন তো দূর, পান্তাটাও-
করছি ছিনতাই ।
বাঁচার তাগিদ আছে অনেক
কিন্তু কেমন বাঁচি !
‘নাক খোঁচালে অবেলাতে-
বেরোয় কি আর হাঁচি’ !
বলতো তখন, শুনতাম না
এখন বুঝছি ঠিক,
বুঝলে কি আর হবে গো আর
‘চলেছে সে টিক-টিক’ ।
তার তালেতে তাল মেলাতে
পারিনি আমি যখন
আঙ্গুল চোসা ছাড়া কি আর
করবো বলো এখন ?