আমরা গোলাপ, আমরা জবা,
আমরা রজনীগন্ধা,
আমরা মলি, আমরা কলি,
আমরা কেতকি-স্কন্ধা ।
আমরা সতেজ-, আমরা ন-চেত
মানি না সকাল-সন্ধ্যা,
তাইতো আমরা, থাকি না গোমড়া,
সারাদিনই থাকি ছন্দা ।
থেকে থেকে তাই- সবারে দেই
"পুলক মনের নন্দা" ।।

আমরা যে তাই সবারে ভাসাই
সকলের ভরা সকালে,
আমরা যে তাই সবারে মাখাই
যতক কেউ না লুকালে ।
আমরা কি ভাই- সবারে না চাই ?
পড়ন্ত ওই বিকালে !
আমাদেরও মন থাকে প্রতি-ক্ষণ,
চুমুক দিতে দু’গালে ।
তবু তোমাদের ব্যথা আমাদের
সোয়া গো হয় এ’ভালে ।।


আমরা দুলি, আমরা ভুলি
দেহের সকল যন্ত্রনা,
পাই না শুধু- মাখানো মধু,
মাখানো বধুর শান্তনা ।
আমরা তবু-, ভুলেছি সবু
রাখিনি করে মন্ত্রনা
মেনেছি বলে এই সচলে
হয়তো কারোর অন্ত না ।
করলেও রাগ হইনা ভাগ
কেননা তোমার পান্থ না !


তবুও তোমায় রেখেছি ক্ষমায়,
আশিষ সবায় দিয়ে-গো,
তবুও তোমায় রাখিনি কমায়
কাব্য রচেছি নিয়ে-গো ।
আজ তাই ভুলে, হাসি দুলে দুলে-,
সে সব কথা থাক্-গো,
তুলেছো বলে- ছিঁড়েছো বলে
করবো কেমন রাগ গো !
তবু জানো ভাই ব্যথা লাগে তাই-
খতাতে হয় নাক-গো  ।।