***এই কবিতাটি ওদেরই উদ্দেশ্যেই লেখা, যারা ভালোবাসার নামে কলঙ্ক লাগিয়ে জনম দেওয়া মাতা পিতাকে ছেড়ে, ঘর হতে বাহির হয়ে আসে আজব এক দুনিয়াতে | যাকে ওরা বলে প্রেম, ভালোবাসা | কিন্তু-, বাস্তবিক দিক থেকে যদি আমরা প্রত্যক্ষ ভাবে যাচাই করি, তবে-, বাবা মা যা দিয়ে আমাদের বড় করে, নাম ধাম দেয়, তা আসলে কি ? আমরা নিরুত্তর হই তখন | আমরা ছোটো হয়ে যাই | "আমি এর উল্টোর দিকটায় যাবো না" | আসলে ওরা আমাদের মতো করে কখনো ভাবে না | তাই, আমি ঘৃণিত চোখে দেখি এই ব্যাপারটিকে |
   নিম্নে, এই কবিতাটিতে, ওই মা-বাবাদের সুপ্ত ব্যথাটাই ফোটাতে চেয়েছি, যারা, তাদের ভালোবাসার আঙিনায় লালন পালন হওয়ার সত্ত্বেও, দুই দিনের ভালোবাসার জন্য সব সম্পর্ক দূরে ঠেলে চলে যায় |এবার, কবিতায় আসি-


যখন তোর লাগতো ব্যথা,
আমারই হত ক্ষতি,
মিনতি হত-, প্রভুরই কাছে,
আবারো তোর প্রতি |
অল্প কথায় রাগতিস্ খুব,
করতিস্ বিদ্রুপ,
এখন, বেঁচে- মরেই আছি,
পাশেতে জ্বলছে ধূপ |

নিজে না খেয়ে করেছি বড়
দিয়েছি তোকে নাম,      
অট্টালিকার প্রাসাদ, তবু-
বুকেতে দিয়েছি ধাম |
তোরই জন্য স্কুল কলেজ
আমারই হাতে গড়া
যাতে তুই- শিখেই সবই
গাধাকে বানাস্ ঘোড়া |


একটি নয়-, শত খেলনা
দিয়েছি কিনে তোকে,
নিজেকে আমি বেঠিক করেছি,
করেছি তোকে ‘ওক্কে’ |
বলতো লোকে- আমায় ডেকে
"এত আদর দিস্ নে",
একদিন তোর কলিজা দেখবি
বলবে বাবা বিষ নে |


তবুও আমি শুনিনি কিছু
বক্’বাস্ সব ভেবে-
দূরেই দিয়েছি, তোকেই রেখে
যে- বিশ্বাস দেবে !
কিন্তু, হঠাত আনলি ডেকে
কাল বৈশাখির ঝড়,
উড়েই গেলি-, তুই, কিন্তু
আমাকে করলি পর |


আজকে, আমি নিঃশেষ, ওরে
তোরই দাবার পাশায়,
আজকে আমি কাঠ কয়লা,
তোরই ভালোবাসায় |
যে কাঠে আজো লাগেনি আগ্
তবুও কাঠ কয়লা,
এ হৃদয়ে আজ জমেছে, পুরেছে
শতশত সব ময়লা |


একবারও তুই ভাবলি না যে-
থাকবো আমি কেমন,
তোকেই ছাড়া, আমার স্নেহ,
ভগ্ন, আমার এ মন |
আমার স্নেহ- তোর কাছেতে
আজকে হল পর,
তোর ভালোতেই- সাজালি তুই,
পেলিই ভালো বর |


এখন তুই ভুলেই গেছিস্
পেয়েছিস্ সরবর,
এখন খুকি বলতে পারিস্
আমার কি নির্ভর ?
তুই-ই ছিলি আশ্চর্য প্রদীপ,
তারই- ছিলি যতি ,
আজকে আমি সব হারালাম,
"হলাম, নীরব গতি" |


৩০\০৪\২০১৬
গুড়গাঁও, হরিয়ানা ।