রাতটা আমার কাটেনি ভালো
মাতেনি- ঘুমেই চোখ,
ঘুমটা তবে কোথায় গেল-
বলছে নানান লোক ।
পাড়ার পাশের দাদু , দিদা
বলল আমায় দেখে-
‘তিনশো সালের ভুতের খিদা’
দূর করে দাও একে- ।
ঘুমটা তার সেই ভুতটি
জব্দ করেছে জানি
ছড়িয়ে দাও-! এই কথাটি
করেই কানাকানি ।
তবেই পাবে চোখেই ঘুম
বেটা হারামজাদি
বন্ধ করো- ওর বেডরুম,
বলল দাদা-দাদি ।


পাশেই তার নিজের কাকু
শুনেই ওসব কথা
বললো এ তো ভুতের ডাকু
ভাঙবো না আর প্রথা ।
তাইতো সেই- তাদের কথায়
করতে কানাকানি
বলেই গেল করেই গেল
সবারে জানা জানি ।


আমি কিন্তু চুপটি ছিলাম
জানলা খোলা খামে,
চোখটি দিয়ে দেখতে ছিলাম
সন্ধ্যা যেথায় নামে ।
ওই যে ওই- বনের পাড়ে
গাছের ছায়া ঢাকা
তারই পাশে, তারই ধারে
যেথায় আঁকা-বাঁকা
‘সপ্ত-কষির’ বাট, বাঁধাতে
যেথায় আমার সাজ
সেথায় যেতে- সেথায় যেতে
যে যা বলুক আজ ।


একটি নাও তাইতো আমি
গড়েছি কাগজ দিয়ে
হয়তো এটা নয় যে দামি
তবু ওদের বিয়ে-
সপ্ত-কষির ভায়ের সাথে,
কারণ আমার মন
ঘুমের আগে প্রতি রাতে
চুরি করে ওই বন ।
এই দায়েতে ভুতের ভূষণ
হয় যদি বা হোক !
তিনশো সালের এনেই দূষণ
নেবোই মনের ভোগ ।