আবার পড়েছো হে- নুইয়ে বন্ধু, আবার পড়ছো হে শুইয়ে
একতার মাঝে থাকতে হবে, বারবার বলি হে দুইয়ে-
‘ফাটলের দল ফাটলের দ্বারা জানো নাকি যায় চুঁইয়ে’ ?
‘একতা যেখানে বৃক্ষ সেখানে, দেখেছো, কতটা খাঁটি
করে রেখেছে-, ধরে রেখেছে নিজের ওই পরিবাটি’ !
কেন তবে ফের আলাদা হয়ে করো গো হাঁটাহাঁটি ?
শিখে নাও কিছু দেখে নাও আরো, জেনে নাও সব ফল
আরে আমার- নুইয়ে পড়া, শুইয়ে পড়া সকল গাধার দল
ঘুমালে যে আর- হবে একাকার-, বল’টাই শেষে নির্বল ।


‘করে যাও কিছু- এসেছো বলে’, বলেছি বলে ভেবেছো,
এগিয়েও গিয়ে বারবার তুমি- বারাবার পিছে চেপেছো,
অন্যায়ের সাথে লড়তে গিয়ে বারবার তুমি কেঁপেছো ।
হতে পারে তা, কিন্তু, দুই –ঘা তাদেরও যে তুমি দিয়েছো
সে কথারই খেয়াল রাখোনি বুঝি-! ‘আলাদাই বেছে নিয়েছো’,
যে কথাটি রাখার সে কথাটি রাখোনি, খালি খালি শুধু জিয়েছো ।
হতে হবে আরো-, যদি হতে পারো, ভুলে যেতে হবে ক্ষমাকে,
হাটাতেই হবে- অন্যায়, আর অত্যাচারের জমাকে,
এই কথাই বলি-, বলি যত বলি এই যে বাবু তোমাকে
ঝরণার মতো গতিশীল হয়ে পড়বে যখন নিচেতে-
তখন যত শক্তি সে বাঁধ আসুক না হয় বিচেতে
পড়বে মারা, সকল তারা- এক টানেরই খিচেতে ।
শুধু তোমাকেই একটা কথাই রাখতে হবে বারবার
‘একতা ছাড়া’, একথা ছাড়া ভুলে যাবে সব কারবার,
তবে তুমি হবে- এযুগে-সেযুগে পারাপারেরও পারাপার ।