চার দেওয়ালের মধ্যে আমি-,
প্রাণটা যায় যায়,
ইতস্তত-, মারছি ঝাপট,
বলতে গেলে প্রায় ।
ঠিক যেন এক খাঁচার পাখি-,
অবলুপ্তেই এখন,
ঝাপট-টাতেই প্রাণটা যাবে-,
জানি না যে কখন ।


ভুলেই গেছি কায়দা-কানুন,
চার দেওয়ালের মাঝে-
চুল পাকা আর পাকের উকুন
নিয়েছে এখন সাজে ।
নিয়েছে আমার সকল স্বাধীন
জানি না সে কোন জন
হয়তো হবে, সময় কিংবা
আমার আপনজন ।


আর হবে না-, ছাড়তে হবে,
ভাঙতে হবে দেওয়াল,
কারণ , যখন মরতে হবে
আজ, না হয়- কাল ।
থেকে থেকেই- জগত মাঝে
পড়ছি নিজেই বাদে ,
এই কি তবে বাঁচার ঘর ?
দেওয়াল ঘেরা ছাদে- !


আমি তো আর পাখি নই-,
এক জ্যন্ত মানব,
তবে কেমন- নিজে নিজেই
হবো মনের দানব ?
চঞ্চু তো আর- আমার নেই
আছে আমার হাত,
সেই হাত দিযে পারবো না কি-
দেওয়ালে টানতে ঘাত ?


পারতে হবে-। বসবো না আর-,
ভাঙতে দেওয়াল চার
সব পরিশেষ হবার আগেই
বাঁচবো একটি বার ।
ওদের মতো- ।  যেমন  বনে-
বনের হরিণ থাকে,
ওদের মতো-, যেমন বনের
মৌমাছিরা- থাকে ।।