মধ্য রাত-
হঠাৎ এল ফোন,
শব্দে আঘাত
যতীনের ছোটো বোন
ওড়নার ফাঁসে
গলায় দিয়েছে দড়ি ।


চমক নিয়ে
একটি লাফে সোজা
রন্ধে গিয়ে
ঝোলানো পিঠের বোঝা
তারই থেকেই
একটি চিঠি পড়ি ।


লেখা তাতে
‘তোমার উত্তরে আমি
বিধাতাতে
হবো না আর দামি,
তাইতো আমি
গেলাম, -ওপারেতে  ।


সুখে থাকো,
যখন থাকবে একা,
মনে রাখো
পাবে না আর দেখা,
যদি তুমি
থাকবে খুশি এতে-’ ।


শেষে লেখা
থাকবে ভালো যেন-,
নিভ শিখা
দেখলে করোনা কোনো
হঠাৎ করে
প্রশ্ন-টশ্ন আবার !


আমার তো
সময় নেই আর,
তাই আমার
নিচ্ছি না আর ভার,
এই দুনিয়ায়-
সময় হয়েছে যাবার ।


পড়া শেষ-,
আসলো মাথায় ঘাম
সবই শেষ-,
হায়, এ কি হলো রাম !
সুনিতার
এমন হলো দশা’ !


আমি কিনা
মারলাম জোর ঘুম
পারলাম না-
বাঁচানোর কোন ধুম,
যেটা তার  
হতো কড়ির খসা ।


যেটা তার
ফিরিয়ে দিত সব,
আর একবার
পড়তো কলরব
তারই মনে-,
পড়তো যেমন আগে ।


বিধাতা যে-
এতই নিঠুর হবে
বুঝেছে সে-,
তাইতো নিজেই ভবে
শেষে কিনা-
বাঁচলো না আর রাগে ।


কিন্তু হঠাৎ
বিধাতার কাছ থেকে
হদয়ে আঘাত-
আনলো এ মন বেঁকে,
এবং করলো
নিজেই নিজেরে প্রশ্ন ।


বিধাতার নাকি-
আমার দোষ ছিলো ?
নাকি-ই ‘ফাঁকি’
তাহাকে দন্ড দিলো ?
সবই যে আজ
একটি ভুলের কষ্ণ  ।


যদি আমি-
দিতাম তার সাথ,
হতাম স্বামী
ধরতাম তার হাত,
তবে কি আমার
হতো নাকি লাজ ?


নাকি হতো
আমার জীবন আঁধার !
ছিলো তো
প্রয়োজনে  ঘর বাঁধার,
তবু আমি
নিজেই কিনা-, আজ


তারই শ্বাসে-
ফেলেছি বায়ুর হ্রাস ?
যারই হাসে
কাটতো সকল ত্রাস !
এখন সে-
না দেওয়া দমের ঘড়ি ।


মধ্য রাত-,
হঠাৎ এল ফোন,
শব্দে আঘাত
যতীনের ছোটো বোন
ওড়নার ফাঁসে
গলায় দিয়েছে দড়ি ।