চিকন রোদের রোশনা এসে-, বলছে যখন ‘কোথায় তুমি’?
তখন তুমি খিদুক পেটে, বলছো কেন-? ‘নেই যে আমি’!
বলছো কেন-? ‘নেই যে কেউ’! বলছো কেন নেই গো গাঁছি!
বলছো কেন-? ‘ছিঃ ছিঃ ছিঃ’-, ‘এই যে বন্ধু- আমি আছি’!


দরজা খোলা, আসতে পারো-। আসতে পারো বিনা দ্বিধায়,
খেঁজুর তলায় নামলে যখন, আসলেই হয়- ‘দেউলে’ সিধায় !
নাম পুছেছ ? ‘গৌরি গেছো’ । কাম পুছলে- ‘খেঁজুর শিউলী’,
দেউলে এসে-, হিমশিমটা, খেয়েই শেষে- হলে দেউলি ?


এতই পেটুক ? বলি গিন্নি-, ‘ রসের নেশায় রসিক নয়’,
পেতেই হলে একটু আধটু-, করতেই হবে আমায় ভয় !
নইলে রসের হাঁড়িই আমি-, এক নিমেষে গুঁড়িয়ে দেবো,
‘গৌরি গেছো’ বলছি আমি; ‘এমনি মানুষ নইকো ভেবো’ !  


তিল দেখেছ, তাল দেখনি-। দেখবে এখন, পেটুক রানি !
আবার যদি কর, তবে-, মারবো এক আছাড় টানি ।
শীতের আমেজ, সন্ধ্যে-রাতে, আছেই যখন- ‘রসের হাঁড়ি’,
আসুক তবে বাঙলা গোটা- । রসেই যখন ভরা বাড়ি !