শহরের পথে ঘাটে কত জ্বলে আলোদল
থামে না যে, জেগে থাকে; নেই তার কোলাহল।
ছুটে চলা ট্রেনটা'ও– দেখো ছোটে নেই গ্লানি,
দারোয়ান জাগে আরো। যাতে থামে হাতছানি ।
চাঁদ তারা জাগে জানি; জাগে জানি জোনাকি
জাগে জানি ঝিঁঝিরেরা-! অত হয় গোনা কি ?
তাই অত বুঝি না যে! তবু বলে লোকেতে–
মাঝ রাতে ‘প্রেম’ নাকি– ‘প্রেমিকার চোখেতে’।
থেমে যায়, ঘেমে যায়, প্রেমিকের দলেরা
তাতে নাকি অদ্ভুদ! রোগ হয় কলেরা ।
এ তো- বড় জন্ডিস্ ! এ যে বড় ম্যালেরিয়া!
এটাকেই তবে নাকি–! বলে ভাই ‘লাভেরিয়া’?
তাই বুঝি–! ‘স্কুল আর কলেজের পড়াটায়
ঘুম ঘুম চোখে ‘তারা’ ঢোলে পড়ে ছড়াটায়’ ।
তাই বুঝি– অফিসের ছোটো বড় স্টাফরা
মাঝখানে ঢোলে পড়ে ফাইলের বাপ’রা।
চোখ তবে বাবুই কি ? হয় তাতে গাঁথুনি ?
হয় তাতে আগ্ ছাড়া আহ্লাদি রাঁধুনি ?
হায়! হায়! আরো শুনি– কতশত গুনগুনি ।
তবে ভাই কেটে পড়ি আমি ঠিক এক্ষুনি!
কারণটা– চোখে যদি থাকে ভোলা মন্তর
তবে ঠিক গলে যাবে– মজনুর অন্তর  ।