যখন ভাবি ভাববো আর-
লিখবো এক কাব্য,
লিখে লিখেই জগত জুড়ে
হাজার পাতায় ছাপবো,
তখন মনে- কেন জানিনে,
কেউ যে বলে- দাববো ।
চমকে যাই, তখন হঠাত-
ভাবার আগেই আমি,
বুকে বাজে হাজার আঘাত,
প্রশ্নে, কি নই দামি?
লেখা তবে সামান্য বৈ-!
কেন বা তবে ঘামি ?
তখন শুনি-, পাশের ওই
আমের গাছটি থেকে
একটি কোকিল বলল আমায়
" আছেন এখনো বেঁকে ",
এই বলে সে সুরের টানে-
বাস্তব দিল এঁকে ।
দেখতে পেলাম তাতে আমার
কোথায় দুর্বলতা-,
জানতে পেলাম কেন আমার
স্বচ্ছে- লতাপাতা,
আর আমি তো বেশ খামোকা
ভাবতামই বলি যা-তা ।


কবি যদি হতেম-, তবে
আসতো নানান ভাব,
জয়ের সাথে, ভানুর সাথে
লাগতো তবে খাপ,
ভালোবাসার ছোঁয়া, আরো
ভাবেতে দিত ঝাঁপ ।
যেমন করে ওদের ছোঁয়ায়
কাব্যতে হয় হাট,
আনাগোনা শব্দেরা সব
যেমন থাকে লাট,
তেমন করে আমার হাটে
আসতো দু, চার, ষাট ।
আর যদি বা কবি হতেম
থাকতো না কি আমার
সব ক্ষমতার উচ্চতরে
ভাবের খেত-খামার ?
হতো না তবে, ভাবার আগে-!
আমার তবে নামার ।
এখন বুঝি-, আমার দ্বারা
হয় না কেন কাব্য,
হয় না কেন সবার সাথে
ভালোবাসার নাব্য-,
বুঝেছি যখন- প্রশ্নের ওই
উত্তরে, তো- দাববো !