তাকে দেখতেই– লালা ঝরে পড়লো।
একহাত জিভ বেরিয়ে পড়লো আমার।  
যেন ছিঁড়ে, না হয় গিলে খাই একবার।
আমি পুরুষ। পুরুষ হবার খিদে আলাদা এক।
বন্ধুরা বলে উঠলো– আমরা'ও খাবো!
এ যেন পুরুষদের ধর্ম।  
মানা করতে পারলাম না ওদের...

সেদিন ছুটির দিন। সেদিন বৃষ্টির দিন।
বাড়ি ছাড়া। হাড্ডাগাড্ডা সকলেই।
চুপিসারে, বেরিয়ে পড়লাম জংশনে।
বেলা প্রায় বারোটা ছুঁই ছুঁই।
ছুটি পেরোতে আর বেশি দেরি নেই।
এমন ছুটি আমাদের ঈদের চাঁদ।      
এমন দিন হাত ছাড়া হলে–
         পুরুষ হওয়া আমাদের ভীষণরকম ব্যর্থ।
প্রতিটি সেকেন্ড তাই আমরা অপেক্ষারত।    


কিন্তু, রোজ যাকে দেখতাম এক লোলুপ দৃষ্টিতে,
যার জন্যে আজ আমরা শরীরের খিদায় কাতর,
পুরুষের যন্ত্রণায় হিমশিম। অস্থির। অবোধ।  
আজ তাকে বা কে ছুটি দিলো ?  
বন্ধুরা অধীর। অফল।
কয়েক জন গলির দিকে এগিয়ে গেলো।
আমি হতাশ। তবুও, জংশনের চতুর্দিকে...  
হঠাৎ বন্ধুদের শব্দ কানে তীরের মতো বিঁধলো।
–––এদিকে এদিকে, এইতো, এই সেই মহিলা!

হাড়ফাটা কাজের অবসরে,
             সেদিন ছিলো ছুটির দিন...
  
সবাই ঝাপিয়ে পড়লাম এক নিমেষে।
                   ঘিরে দাঁড়ালাম সক্কলেই...


   ঘিরে দাঁড়ালাম; মহিলাটির ঠেলাটিকে...