একজনা কাঁদিয়ে গেল, আর জনা দেখছি-, হাসায়,
ও জনা দূরে ঠেলেছে-, এ জনা-, কবির'ই ভাষায়
কবিতা লিখছে বসে-। কবিতার- দেখছি দু’চোখ-;
পাঠ করে শোনায় আরো। শুনছো? শুনেছে ও শোক...।


বলল, 'হু শুনেছি-, শুনে কি- করবো বলো'?
শোকে আমার জীবন গড়া, শোকে আমার জীবন গেল-।
মনটা দেখছো না কি-! কেমনে দ্বন্ধে আছে,
মরণের ওপারেতে- এ জীবন, পৌঁচ্ছে গেছে।


হাসলাম, খিলখিলিয়ে-, দেখলো। সে তাকালো।
বললাম, 'সবেই ত্রিশ-'! কেমনে সন্ধ্যে হলো-?
তবে তুমি- হেরেই গেছো! লাভ আছে-! হারিনি বলে-?
আরে বাবা, শক্ত হও-, নিজের মত বাঁচতে হলে।


কেন এত পড়ছো ভেঙে-? ভাঙা কি- তোমার মাঝে?
যে ব্যথা পান করেছ-, সে ব্যথায়- বাঁচাই সাজে!
ভুলো তাই সকল ব্যথা, যাতে না আর ব্যথা পাও,
কেউ তাতে কষ্ট বা পাক! ও কথা- ভুলেই যাও-!


কারণটা বলতে গেলে-, ইঁটটা ও ছুঁড়েছে-,
পাটকেল তুমিও দাও-, যেটুকু হৃদ পুড়েছে !
রবিজির সেই বাণীটা-! নেই মনে-? বইটা ঘাঁটো!
ডাকে যদি কেউ না আসে-, 'তবে, তুমি একলা হাঁটো'।