কষ্টের কী এক আশ্চর্য গুণ!
কারো সাথে অংশীদারত্ব করা যায় না
ভাগ-বাটোয়ারা করলে কমে না,বাড়তেই থাকে জ্যামিতিক হারে।
প্রকাশিত হলে সুস্পষ্ট হয়, প্রচারে তিব্র হয় স্রোতের মতো।


কষ্টকে আমি ভালোবাসি, আসলে নেশার মতো
কষ্টই আমাকেই আগলে রাখে যত্নের জোয়ারে
তার যন্ত্রণাময় আবেশ সময়কে করে স্থির
আমি স্থির সময়ে নিজের স্তবির রাখি
অথচ স্তবিরতা নেই জীবনের গল্পে
চলতে থাকে আপন গতিতে নিজস্ব রঙ্গমঞ্চে
নিত্য নতুন কষ্টের কুশীলব নিয়ে, আমাকে পাগল করে


কষ্ট আমার প্রেম, অথবা সুপ্তহৃদে রক্তপ্রেমী
তাকে ভালোবাসি, কিংবা তার ভালোবাসায় -
আমি বেঁচে থাকি আদম সুরতে হাওয়ার ইন্ধনে
গন্ধম ফলের নেশা পানে, যে আমাকে নিষিদ্ধ করে সমাজে।
আমি নিষিদ্ধ সমাজের কষ্টারোহী পতঙ্গ


কষ্ট আমার ক্ষুধা, অভুক্ত হৃদয়ের শ্লীলতাহানিময় অসুখ
অসুখের মতো অপার্থিব এক সুখ
কষ্ট আমার সুর, গানের লিপিতে গীতিকারের হাহাকার
কষ্ট আমার কবিতা, বর্ণমালার সব স্বরের প্রান্তিক বিসর্গ


কষ্ট হলো কবিতার ছন্দের মতো
গানের তালের সাথে, নায়িকার উদ্দাম নৃত্য
আমার বুকের গভীরে নুপুরের ঝংকার
আমি কষ্টের ঝংকারে রক্তনৃত্যে করি অবগাহন-
যাতনাময় সুখের সন্ধানে করি নরকে প্রবেশ।


কষ্টই আমার স্বর্গ, কষ্ট জীবনের নরক
কষ্টকে কষ্ট দিয়ে নষ্ট হয়ে জীবনে করি ভ্রষ্ট
ভ্রষ্টের স্পষ্টতায় কষ্টিত সুখে
কষ্টময় বিলাসিতায় জীবনের সফলতা করি নষ্ট


কষ্টের চারাগাছে সার দেই, পানি দেই
কষ্টের ফুল ফলে পুলকিত মনে
নিজেকে করি গর্বিত, কষ্টের মায়াজালে
অথচ
আমিই কষ্ট।