তোমাকে ভালোবাসি সবচেয়ে বেশি, তারপরও তোমাকে ভয়
ভয় পাই তোমাকেই জীবনের চেয়ে, জীবনকে দিতে চাই জয়
জয় চাই জীবনের সকল ধাপে তোমার ভালোবাসা আঁকড়ে ধরে
ধরে যাই নক্ষত্রের সব বাজিমাত বেলা ফুরোবার আগের স্তরে
স্তরে স্তরে সাজানো সাগরের নোনাজল তবুও খুঁজি ভরসার স্থল
স্থল ঘেরা জলের আবাহনে সমুদ্রতা জাগে নিঃশব্দতায় হৃদয়ের তল
তল অসমতল আকাশের নিচে মেঘালয় জীবনের পথে জন্মের লয়
লয় ক্ষয় ভূমিমৃত্তিকা বসন্ত বারূদের ছোঁয়ায় জেগে ওঠে পৃথ্বি বিস্ময়
বিস্ময় লীলাভূমি ঊর্বর মৃত্তিকা প্রান্তরে থেমে থেমে জাগে কোলাহল
কোলাহল জনপদে চলে বারোমাস জন্মান্তরের বীজ বপনের লাঙল
লাঙল কর্ষণে জমিচাষ বীজবোণা ক্ষেত-নক্ষত্র ক্লান্ত কৃষকের উৎসব
উৎসব বহুতল জীবিকা বিপণন সময় মানবতার বৃক্ষে পুঞ্জিত পল্লব
পল্লব সরবে পাখিদের কোলাহলে মনে জাগে কত কথার উত্তর
উত্তর থেকে দক্ষিণে পশ্চিম কিবা পূবে দূর্বার গতিতে নাই অবসর
অবসর ছাড়া এই পথে পথে মিছে না হোক জীবনের পথচলা
পথচলা সততার ঘড়ি ধরে মানবতার ঘুর্ণিতে ন্যায্যতার মত বলা
বলা হোক কন্ঠস্বর বীণায় মুখরিত প্রাণে বিজয়ের এই জয়গান
জয়গান অম্লান মৃত প্রান্তরে নিরবতায় প্রাণের সঞ্চারে নির্বাণ
নির্বাণ হৃদয়ে ক্লান্ত সময়ের গতিপথে নবসৃষ্টির উল্লাসে ডাকে
ডাকে চিত্ততার মহা প্লাবনের ক্ষুব্ধতায় সভ্যতা আঁকড়ে তোমাকে।


তোমাকে ডাকি সবচেয়ে বেশি তবুও কেন তোমাকেই এতো ভয়
ভয় পাওয়া জীবনের সকল স্তরে তোমাকে নিয়েই জীবনের বিস্ময়।
বিস্ময় মাখি বিস্ময় রাখি থমকে চমকিত, গড়ি জীবনের সময় সমতল
সমতল করি কন্টকিত গর্ত প্রান্তরে, জাগাতে প্রাণে নতুনের কোলাহল।