আমি আয়নায় তাকিয়ে অপরিচিত একটা মুখ দেখতে পাই
দুর্বোধ্য, নিষ্প্রভ দু'চোখে শুধু কষ্টের ছাপ
যাকে আমি জানি না, অজ্ঞাত মুখায়বে-
গভীর অনুভূতির কিছু দাগ তাতে স্পষ্ট।
কখনো তার কোলে দেখি নবজাতক শিশুর মুখ
কখনো রক্তে ভেজা পুরো বুক।
তার পিছনে দাড়ানো ভয়ঙ্কর কিছু প্রাণী, রক্তপিয়াসী হায়েনার মতো
কখনো তার মাথায় দেখতে পাই নারী মূর্তি
কখনো তা হয়ে যায় পিশাচের মুখোশ
তার মুখ বন্ধ, হাত-পা বাঁধা
কখনো সে লাফিয়ে ওঠে, কখনো নিথর দেহে দাড়িয়ে
মনে হয় সে কিছু বলছে, অথবা চিৎকার করছে
চারপাশ তার প্রহরীতে ঘেরা, কখনো সে একা
তাকে মনে হয় শান্ত, অপদার্থ
কখনো মনে হয় বুনো, হিংস্রতায় জ্বালা মুখ।
আয়নায় আমি কাকে দেখি?
তাকে আমি চিনি না, রক্ত-ঘামে স্নাত অজ্ঞাত প্রাণী
আয়নায় এখন আর নিজেকে দেখতে পাই না
অনিয়ন্ত্রিত কিছু প্রাণী, বন্য স্বভাবী, পশুর মুখ দেখি।