সময়ের সাথে চিত্তের রঙ পাল্টায়। বদলে যায় প্রকৃতি পরিবেশ পরিচিত সব।
তাই আমাদের বিশ্বাস, ধ্যান-ধারণা, কর্মপন্থা, চিন্তাধারা কখনোই স্থায়ী নয়!
সুতরাং
কোনো কিছুই অকাট্য নয়। সবাই আমরা প্রবৃত্তির অনুসারী,
কেউ কম কেউ বেশি।
প্রবৃত্তির চাহিদা সময়ের মতো গতিশীল,
সুতরাং মনের ভুবন দোদুল্যমান ও স্পর্শকাতর। অস্থায়ী এই ভুবনের সবকিছু প্রকাশ করতে নেই, করলেই বিপদ।
বিপদ আর কষ্টের হাতছানিতে সবাই ঝাঁপিয়ে পড়ি সেই প্রবৃত্তির ফাঁদে পড়েই!


সময়ের সাথে আজ যে আপন, কাল সে পর।
তাই মনের ভুবন বিকিয়ে দিতে নেই,
এটা শুধুই নিজের করে রাখার মাঝেই নান্দনিক সুখ।


পার্থিব সব বিষয়ে আমার বিদ্যা-বুদ্ধি না থাকলেও একটা জিনিস পারতাম,
নিজের কষ্টটাকে লুকিয়ে রাখা। মনের খবর মনকেও জানতে না দেওয়া।
আমি জানি আমার হাত, পা, চোখ, মুখ, নাক সমস্ত অঙ্গ-প্রতঙ্গ আমার সাথে বেঈমানী করতে পারে।
কানেরও কান আছে, চোখের বাইরেও চোখ আছে।
তাই কষ্টের কথা কাউকে যেমন বলি না, তেমনি ভালোবাসার কথাও বলা হয়ে ওঠে না।


প্রবৃত্তিকে আমার উপর সওয়ার হতে দিই নি।
তাই মানুষের লাঞ্ছনা, বঞ্চনা ও উপহাসকে উপেক্ষা করে
জীবনকে উপভোগের একটা নিজস্ব রাস্তা তৈরি করতে পেরেছি।
কারো উপকারে না আসতে পারি, অপকারে যেন কখনো নয়।


কষ্টকে কিভাবে উপভোগ করা যায়,
কিভাবে সমস্ত সমস্যা,বিপর্যয়, দুর্যোগ, দুঃখকে সুখের উপকরণ বানানো যায়,
এটাই আসল শিক্ষা,  দর্শন
জীবনের সফলতা।    


"সুখী জীবনের প্রধান সূত্র- চাহিদার সীমিতকরণ ও প্রবৃত্তিকে নিয়ন্ত্রণ। "


চাহিদা তো নেই, নেই কোনো বিশেষ পরিকল্পনা।
সব সময় সবকিছুর মাঝে আনন্দ খোঁজা পথিক আমি, পৃথিবীর এক মুসাফির...


বিষের নীলাভে সুখবিলাসী এক নীলমুসাফির।
আনন্দ পেতে চাই, আনন্দ বিলাতে চাই,  
আনন্দে আনন্দে নিরানন্দের পাশে
অনিন্দ্য মনে সানন্দে নিন্দিত ভুবনে নন্দিত হতে দ্বন্দ্বহীন সময় কাটাতে চাই।