(১)
                ×রাঘব বোয়াল×


তুমি না কলুর বলদ; আমাদের কেবলা হাকিম?
ঠোঁট কাটা, ঢাকের কাঠি, বৃষ্টিতে রিমঝিম!!
খাও প্রতিদিন বাঘের দুধ, শেষে ঘোড়ার ডিম!!!


সেই তুমি আজ ফুলবাবু, হয়েছো সৈয়দ- মীর!
হয়েছো তুমি ঈদের চাঁদ, সাক্ষাত অতি ধীর!!
আমড়া কাঠের ঢেঁকি থেকে হয়েছো টাকার কুমির!!!


তুমি সবার অন্তরালে, কর চক্ষু দান!
তোমার মহিমায় সূর্যের আলো ম্লান!!
কীর্তি তোমার এতোই মহান!!!


নেমেছে আজ তোমার পিছে, জয়োধ্বনির ঢল!
মাখতে পারে গায়ে, তোমার উচ্ছ্বিষ্ট মল!!
যত্বোসব ধামাধরার দল!!!


তুমি আজ তাদের কাছে, হলে রাঘব বোয়াল!
তোমায় নিয়ে তোষামোদে, বাড়ছে তাদের চোয়াল!!
ধরার মাঝে তাসের ঘরে আমরা শুধু সাক্ষী গোপাল!!


তুমি আজ পরের ভিটায় ঘুঘু চড়াও মনের অভিলাষে!
পরের মাথায় ভাঙ্গো বেল একটু অবকাশে!!
উঠবে একদিন যমের তারা তোমার আকাশে!!!


তোমার দাপটে কাঁপছি সবাই, কাঁপছি থরথর!
টাকার কুমীর বুঝবে একদিন, কত না তাসের ঘর!!
তালকানা রোগে উঠবে যেদিন, পটল তোলার ঝড়!!!
( পুনশ্চ: তার আগেই সে এখন দেখছে শ্রী_ঘর!)


××××××××××××××××××××××××××××××××××
××××××××××××××××××××××××××××××××××
(০২)
বিড়াল তপস্বী


আকু মিয়া- চাকু দিয়া
দেখায় কেরামতি!
দেখে দেহ- বলে কেহ
এ তো বনের হাতি!!
স্বপ্ন দেখে- অঙ্গ মেখে
দেখে হাতের পাঁচ!
আঙ্গুল ফুলে- হলদে চুলে
হয় সে কলাগাছ!!
একদিন সে- নামের পাশে
লিখে সৈয়দ মীর!
উঠছে রবে_ বুঝছে সবে
তুমি টাকার কুমীর!!
ইচ্ছে হলে- আঙ্গুল তুলে
দেয় সে ইশারা!
প্রাণের বলি- রক্তের হোলি
সব হয়ে যায় সারা!!
দোকান পাটে- পথে ঘাটে
পায় সে সম্মানী
বর্ষাকালে- বন্যার হালে
দান করে সে পানি!!
নয়ন জুড়ায়- টাকা উড়ায়
মাথা ভরা কান
দর্প ভরে- গরু মেরে
জুতো করে দান!
একদিন সে আপন মনে- প্রার্থী হয় নির্বাচনে
মুখ ভরে দেয় হাসি!
নির্বাচনে হয় সে নেতা- জনগণের মাথা ব্যথা
শান্তির গলে পড়ে ফাঁসি!!


পুনশ্চ: ধরে কিছু পাতি নেতা
নির্বাচনে হয় রে জেতা
তবুও তাকে ভালবাসি!!
×××××××××××××××××××××××××××××××××××××××××
×××××××××××××××××××××××××××××××××××××××××


(০৩)
ব্যাঙের সর্দি
××××××××××
হাতের মুঠোয় এলো যেন, আকাশের চাঁদ
মহা সড়ক হয়ে গেল, সকল "বালির বাঁধ!
পরশ পাথরে দিতে হাত আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ
শ্রী_ঘরে আবাস গড়েন, গভীর জলের মাছ!
প্রতিদিন রাখে পেপার; আদার ব্যপারী
কলুর বলদ বুদ্ধির ঢেঁকিতে ভেঙ্গেছে হাঁড়ি!
অকাল কুষ্মান্ড ফিরেছে ঘরে, পটল তোলা শেষে
ফুলবাবুরা যোগ দিয়েছেন; রুই কাতলের দেশে!!
হস্ত-হীনে কাঙ্গালীরা; ধরে অভাবনীয় ক্যাচ
চিনির বলদ বুঝে গেছে- জিলেপির প্যাচ!
ঢাকের বায়া পেয়ে গেছে পাতাল পুরীর লাঠি
বকধার্মিক হয় রে সাধু,দিয়ে সোনার কাঠি!!
এই দেশটি বদলে গেলো- রূপকথাটির মতো
"এক যে ছিলো একটি দেশ" বলি অবিরত!!
সকাল হতে যায় ছুটে যায়, গভীর রাতের কল্প'(?)
স্বপ্ন দেখে গোবর গণেশ, নয় আষাঢ়ে গল্প!!
×××××××××××××××××××××××××××××××
×××××××××××××××××××××××××××××××
(০৪)
আষাঢ়ে গল্প
××××××××××××××××××××××××××××××
ছক্কা পাঞ্জা মারব বলে, দিলাম কত চাল
সব আশাতেই গুড়ে বালি, ইঁদুরে কপাল!
গো বৈদ্য ডাকতে হবে হয়েছে যে ঘোড়া রোগ
কুনো ব্যঙ কেঁদে মরে, মাছের মায়ের পুত্র শোক!
পরশ পাথর হাতে রাখতে, আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ
চোখের নেশায় চাঁদের হাটে; গভীর জলের মাছ!
খেয়েছি আমি ঘোড়ার ডিম; বাঘের দুধ শেষে
রাবনের চিতায় পুড়বে তুমি; উঠবো আমি হেসে!
পরের সূখে কেঁদে মরি; মই দেই পাকা ধানে
আমরা কাঠের ঢেঁকি থেকে সূখের জীবন গানে গানে!!
জ্বালাবো আমি তুষের আগুন; শেষে চক্ষু-দান
সবার চোখ তো কপালে, গোবর গণেশের অবদান!
যা বলেছি সবই মিছে(?) সত্য শুধু অল্প
এ যে কার্তিক মাসের ; আষাঢ়ে গলপো!!