হাসি মুখে বড় কর্তা, চেয়ারে বসেন
কলমটা রেখে ঠোঁটে, জীবনের অঙ্ক কষেন।
কত পানি ব্যয় হল, জীবনের মোড়ে
শেষ পর্যন্ত চাকুরী একটা মামার জোরে।
এখন শুধু গড়ে যাওয়া, জীবন সমমানী
পায়ের নিচে লুটে পড়ে কত মাল-পানি!
টেবিলের চারপাশে জমা কত ফাইল
এগিয়ে নিতে জীবন-গতি, হাজারো মাইল!
ঘুর্ণয়ন চেয়ারে কাত হয়ে, পদ-প্রসারিত
চশমা খুলে টেবিলে, ভাবেন অবিরত!
মক্কেল কিবা ধামাধরা, আসে যদি কেউ
শুরু হবে তখনি, প্রবল কাজের ঢেউ"!
মক্কেল একজন আসলে পরে, হাসি মুখে বলেন-
কী খেদমত করতে পারি; বিবরণটা দেন!
জড়োসড়ো হয়ে মক্কেল, ফাইলে দেন দৃষ্টি
বড় সাহেবের মনে তখন, প্রশান্তির বৃষ্টি!
আমার ফাইল অনেকদিন ধরে-
কথাটা কেড়ে বলেন বড়কর্তা, একটু নড়ে চড়ে
"ও গুলো নয় আর  পানির জোয়ার
সবই তো বুঝেন, বাঁ হাতের ব্যাপার!
উপর-ওয়ালার নির্দেশ আমার শিরোধার্য
আমি তো ভাই ছা-পোষা. করি তার কার্য"!
আপনার খাতিরে শুধু , দেখতে পারি আমি
তার জন্য লাগে যে ভাই "হুজুর সেলামী!
মক্কেল, হারিয়ে আক্কেল ছাড়েন দীর্ঘশ্বাস
একটা ফাইল হয়ে যায়, জীবনের ফাঁস!
ফাইলটা হাতে নিয়ে, হাঁটেন ধীর পদে
বড়-কর্তার তৃপ্ত মুখ! মক্কেল বধে।
চোখে মুখে উঠে যায়, প্রশান্তির ঢেউ!
অপেক্ষা আবার, আসে যদি কেউ!!
(বিসর্গ; ২৭-০৮-২০০২)