সেই রাতে আমি খুবই ভয় পেয়ে যাই, হাতের কাছে টর্চ লাইট থাকা সত্ত্বেও জ্বালাতে পারছিলাম না। অনেক চেষ্টা করেও আমি কাউকে ডাকতে পারছিলাম না। রাতটা ছিল খুবই রোমান্টিক ধরণের, আমার পাশে কেউ ছিল না। বাইরে ঝিরঝির করে বৃষ্টি হচ্ছিল, মৃদু বাতাসের সাথে। সঙ্গত কারণেই তখন বিদ্যুৎ চলে গিয়েছিল। আমি তাকিয়ে দেখি খোলা জানালা দিয়ে কী যেন একটা ঘরে ঢুকছে... ইয়া লম্বা তার দেহ, হাত; কোনোটাই তার পূণাঙ্গ নয়। লম্বা আলখেল্লায় চেহারাটা স্পষ্ট নয়। মনে হচ্ছে যেন আমার কাছেই আসছে। ভয়ে আমি ঠান্ডায় জমে গিয়ে পাথরের মত। কী করব বুঝতে পারছিলাম না। ওই অদ্ভুত আকারটা আমার গায়ে চেঁপে বসে। আমার দম বন্ধ হয়ে আসে। আমি প্রচন্ড শব্দে চিৎকার করে উঠি। কিন্তু গলা দিয়ে কোনো স্বর আসছে না। আমার কানে শুধু গোঙানির আওয়াজ আসছে। কে? কে? ও মন করে গোঙাচ্ছে?
কিছুক্ষণ পর অনুভব করলাম, আওয়াজটা আমার গলা দিয়েই আসছে।
আমি চিৎকার করছি আর হাত-পা ছুড়ছি। আমি বলছি বাঁচাও বাঁচাও আর মুখ দিয়ে বের হচ্ছে- গোঁ গোঁ। এক সময় আমি ক্লান্ত হয়ে হাল ছেড়ে দিই। তখনই আমার ঘুম ভেঙ্গে যায়। এখন আমার প্রায়দিনই এমন হচ্ছে। সেই যে আট বছর আগে শুরু হয়ে ছিল। আচ্ছা আমি কী করতে পারি?