(জীবনে কাটিয়ে আসা প্রায় তেইশটা বছরে পথ চলার সময় চোখের দৃষ্টিকে সামনের দিকে রেখে বয়জ্যেষ্ঠদের অনুস্মরণ ও অনুকরণে  অতিবাহিত করেছি।কখনো ঠিক দৃষ্টি ঘুরিয়ে বয়ঃকনিষ্ঠদের দিকে দৃষ্টি নিক্ষেপের মনোভাব গড়ে ওঠেনি।কারণ হয়তো হতে পারে এতকাল সেই কনিষ্ঠদের দলেই আমার নামকে নথিভুক্ত পেয়েছিলাম।কিন্তু আজ হঠাৎ আমার চেয়ে বয়সে খানিক ছোটো ভাই-বোনদের অত্যন্ত গতিতে ধাবমান চিন্তাভাবনার সাথে নিজের মানসিকতার কিঞ্চিত তারতম্য আমায় কিছুটা ভাবিয়ে তুলেছে।সেই ভাবনা প্রসূত আশঙ্কা থেকে কিছু লাইন আমার মনের ক্যানভাসে ফুটে উঠেছে, যেগুলিকে আপনাদের সাথে বিনিময়ে আমি আগ্রহী হয়েছি।আশাকরি সেগুলিকে আপনাদের মনের কাছে পৌঁছে দিতে সক্ষম হব।)


বর্তমানের এই আধুনিকতা থেকে অত্যাধুনিকতার পথগামী জীবনযাত্রার ধারালো গতিপথ যেন অনেক আবেগপ্রবণ চিন্তাভাবনাকে ভোঁতা করে দিতে আগ্রহী।চোখ বুজলেই শুধু একটা ঘোলাটে রং কে খুব কাছ থেকে দেখতে পাই……ধীরে ধীরে সেই রং যেন আমারদের  চারপাশের জগতে ফোঁটা ফোঁটা করে পড়া জলবিন্দুর সাথে মিশে প্রতিনিয়ত রঙিন বাসায় বেরঙিন ঘর করতে ইন্ধন জোগাচ্ছে।তাই দিনের শুরুতে প্রথম ফোটা আলোর উপস্থিতি গায়ে মাখার মুহুর্তেও আগের দিন রাতের কালো রঙকে হাজার-হাজার রঙের ভিড়ে মিশিয়ে দেওয়ার আপ্রাণ চেষ্টা করে গেছি।দিনের প্রহর গোনার সাথে সাথে বাহ্যিক রঙিন আলোয় জীবন-গ্রাস করলেও, ভিতরের কালো রঙটা ক্রমশ গাঢ় থেকে গাঢ়তর হয়ে যাচ্ছে।চারপাশের মানুষের অলখ্যে রঙিন রঙে কালো রঙ মিশিয়ে তাকে বেরঙিন করার আগে, সকালকে চিরপরিচিত কমলা রঙে, দুপুরকে সোনালি, বিকেলটাকে হলুদ আর গোধূলিকে দুধেআলতার রঙে রাঙিয়ে রতেরবেলার কালো রঙের স্বাভাবিকত্বকে দিনের ঘড়িরকাঁটার গন্ডির মাঝে আমাদের ধরেই রাখতে হবে।যাতে পরের দিনের ‘সকাল’ আবার কমলা আলোয় খিলখিলিয়ে হাঁসতে পারে।