এ কেমন রিক্ততা বল
যেখানে সমুদ্রের বিশালতা অনায়াসে হেরে যায়।
আমি ঠাই দাঁড়িয়ে থাকি সমুদ্রকে পদদলিত করে।
আর আমার সত্তা তোমার মুছতে যাওয়া পদচিহ্ন খুঁজে বেড়ায় ভেজা বালুতে।
পৃষ্ঠ টান তোমাকে মুছে দেয় আমার স্মৃতি চিহ্ন থেকে।
আর তুমি হারিয়ে দাও আমি, আমার শৈশব আর আমার  যৌবনের সঙ্গী বিশাল জলরাশি কে।


আমি তাকিয়ে থাকি উপচে পড়া জলরাশি র দিকে।
কান পেতে থাকি সমুদ্রের গর্জনে।
আমার ত্বক অনুভব করতে থাকে নির্মল বাতাস।


পাশ থেকে হাঁক দিলো" কিরে, কোথায় হারালি?
আমি বুঝতে পারি আমি কয়েক মুহূর্ত অনুভূতি শূন্য অন্ধ বধির ছিলাম।
বাতাস আমায় ছুঁয়ে দেয় নি, সমুদ্রের গর্জন কানে ভেসে আসে নি, চোখ জলরাশি দেখে নি।
কিছু সময় আমি লুপে আটকে ছিলাম।
যেখানে বারংবার তোমার পিছু ছুট ছিলাম।  
প্রতিবার আমি তোমার চিহ্ন হারিয়েছি নিকটে আসতেই।


পর মুহূর্তে আবার ডুবে গেছি তোমার মাঝে।


শত অন্তর্ঘাতে তুমি কিভাবে অক্ষত থাকো?
যখন আই ফোনের হতাশায় ঝুলে পড়ছে তরুণ কিংবা তরুণী।


মনস্তাত্ত্বিক লড়াইয়ে তুমি কিভাবে জীবিত ফিরো?
হিটলার যেই লড়াইয়ে উপড়ে ফেলে তার তার মস্তিষ্ক।


শত শঙ্কা, দ্বন্দ্ব, চিন্তা আর প্রতিচিন্তায়ও তুমি কিভাবে হাসো?
সুস্মিতা যখন ভুলে গেছে হাসতে।


অমাবস্যার অন্ধকারে তুমি কিভাবে অন্যের জন্য আলো হয়ে জ্বলো?
সূর্যকে যখন গ্রাস করেছে চন্দ্র।


তুমি কী আদৌ মানবী না ঈশ্বরী?


ধারণাস্বত্বঃ সৈয়দা নুসরাত মাহি
উৎসর্গঃ প্রশান্ত পাল