রে নরাধম, বর্বর ব্রেন্টন ট্যারেন্ট! তুমি ঘৃণায় মেতে
বহাইলে রক্তগঙ্গা আল-নূর মসজিদের মেঝেতে।
অথচ তোমার অজ্ঞাতে হয়ে গেছে একাকার
বিশ্বাসীর রক্তে মসজিদের মিম্বর থেকে স্বর্গের দ্বার।


চেয়েছিলে ঘৃণার দেয়ালে বিশ্বাসের ভুমি হোক বিভক্ত।
অথচ মানব-বন্ধনীতে আজ আন্তঃবিশ্বাস হলো শক্ত।
আল-নূর মসজিদের আলোয় আজ উদ্ভাসিত
পৃথিবীর সমস্ত মসজিদ আর বিশ্বাসীর চিত্ত।


স্বজন হারানো বেদনার অশ্রু, বুকের হাহকার
বিশ্বমানবতার তরে তুলনাহীন মাতমের পারাবার।
তারই মাঝে বিদেহী আত্মা দৃপ্তপদে হেঁটে গেল স্বর্গে
তুমি যখন নরককুণ্ডে, তারা নন্দিত মানবতার অর্ঘে।  
  
তোমার অন্ধকার কারার দ্বার যখন হবে রুদ্ধ
অনুশোচনায় হয়তো তোমার আত্মা হবে শুদ্ধ।
অন্তত ইতিহাস তাই বলে
এ অমীয় বিশ্বাসে আঘাত হেনে পাথরও গিয়েছে গলে।


যে দ্বার তুমি বন্ধ করতে চেয়েছিলে তা খোলা রবে
যে মেঝে তুমি শূন্য করতে চেয়েছিলে তা পূর্ণ হবে।
পৃথিবীর সমস্ত মসজিদের উন্মুক্ত দ্বারে
বিশ্বাসের শিরোমনি, আবুবকর তোমাকে খুঁজবে বারেবারে।


যেদিন মুক্ত হবে, এসো পৃথিবীর যে কোন মসজিদে
দ্বারের আবুবকর উন্মুক্ত বুকে নেবে ক্ষমাসিক্ত হৃদে।
শুধু একবার ভক্তির সেজদায় মেঝেতে নোয়াইও শির
অনুভবে বুক ভরো - ঘৃণা নয়, অপার প্রশান্তি বিশ্বাসীর!


পৃথিবীর বুকে যার সত্যের হবে না কোনদিন পরাজয়
যতবার যতজন আঘাত হেনেছে, নিজেই হয়েছে ক্ষয়
অথবা তীব্র অনুশোচনায় লুটিয়েছে শির তারই পায়ে
সেই প্রভুর ক্ষমা বিনে নরকের জ্বালানী হবে অপকর্মের দায়ে।