(পেশার কাজে হুট করে স্বদেশে আসতে হয়েছিল। খবর জানার পর মাসিক কবিতার আসর থেকে আমন্ত্রন পাই এ মাসের কবিতার আসরে আসর কবি হওয়ার জন্যে।  আসরের এতদিনের না দেখা প্রিয় কবিদের দেখা পাওয়ার লোভ সম্বরণ করতে পারে কেউ? আমিও পারিনি। অবশেষে দিনটি ছিল গতকাল। আসরের শেষ প্রশ্নটা  ছিল আমার প্রতি আমার ততক্ষণাত অনুভূতি জানানোর জন্যে। হয়তো ভাষাহারা ছিলাম তখন। এখনও অনেকটা তাই। তবুও ক্ষুদ্র পরিসরে একটু চেষ্টা রেখে গেলাম ব্যস্ততার মাঝে)
------------------------------------------------------------------------------


জলের কণা জমতে জমতে স্রোতটা যখন বয়
সাগর-মিলন আশায় চ'লে সেই তো নদী হয়।


শব্দ পুড়ে বুকের মাঝে অনুভূতির তাপে
বইতে থাকে কাব্য হয়ে ছন্দে চলার চাপে।
আসরের সেই ছন্দ-স্রোতে নিত্য অবগাহন
অনুভূতির স্পর্শ দিয়ে ভেজাতো এক মন।
তবুও সেথায় থেকেই যেতো ক্ষুদ্র শুকনো কোণ্
তা ভেজাতেই সাগর পানে চলত অনুক্ষণ।


চলার শেষে আসলো যখন ক্ষুদ্র সে এক কবি
সাগরের ঢেউ জড়িয়ে বুকে আঁকলো মিলন-ছবি।
ভালোবাসার কাঙাল সে এক, কান্না ছিল বুকে
সকল বুকের স্পর্শ তারে হাসিয়ে দিল সুখে।
বুকের ভেতর সবটুকু তার এখন আছে ভিজে
পারলো কি সে ভিজিয়ে দিতে একটি হিয়াও নিজে?


পারলো কিনা কী যায় আসে, সাগর যদি থাকে
হাজার নদী আসবে ছুটে এমনি তারই ডাকে।
তেমনি একটি সাগর যে আজ এই কবিতার আসর
স্রষ্টা যে তার, থাকনা হয়ে হাজার প্রাণের দোসর।


এই আসরের কিছু কবি সেই সাগরের ঢেউ
রইলে আমার ক্ষুদ্র বুকে, হারাইবে না কেউ।